NAWT EXPRESS

NAWT

এক্সপ্রেস

 

নববর্ষ সংখ্যা 2024

সম্পাদক

সুপ্রকাশ প্রধান

মোহন কুমার জানা

শান্তি গোপাল কর

 

সহ-সম্পাদক

শ্রেয়া দত্ত, অমিত কুমার জানা, সিমিলি মিশ্র, কমল সাহু, মধুমিতা পাল, ইতি মাইতি, শিবাশিস দাস

 

সম্পাদক মন্ডলী

দীপশীখা মাইতি, সোনালি গিরি, Ayantika Bose, সুকন্যা মাইতি, অভিজিৎ দত্ত, দেবোলিনা সাউ, শঙ্কর ভূঞা, কোয়েল বারিক, শুভদীপ মাইতি, সুশান্ত সাহু, দেবাশিস গুপ্ত, উজ্জ্বল পায়রা, রনা দা, ইতি মাইতি, গৌতম পাত্র, মোহন কুমার জানা, অরুনাংশু ব্রহ্ম, মৌমিতা চক্রবর্তী, সহেলী জানা, প্রভঞ্জন সাউ, শুভেচ্ছা দাস

 

 

সুস্থতা স্বাস্থ্য

বিজ্ঞান- অবিজ্ঞান

জীবন জীবিকা

সাহিত্য সংস্কৃতি

 

NURTURE ACADEMY WELFARE TRUST PUBLICATION

NAWT EXPRESS MAGAZINE

NEW YEAR সংখ্যা 2024

NURTURE ACADEMY WELFARE TRUST

Copyright © 2024 NURTURE ACADEMY WELFARE TRUST

All rights reserved. No part of this book may please be reproduced or utilized in any form by any means, electronic or mechanical, including photocopying, recording or by any information storage or retrieval system without permission in writing form the publisher.

First Published: 2024

ISBN: 978-81-964718-2-8

NAWT এক্সপ্রেস

Price: 90/-

 

Published by

NURTURE ACADEMY WELFARE TRUST

MSME (Udyam) :: Niti Aayog (NGO Darpan) :: 80G registration :: 12 A registration :: CSR-1, e-Anudaan, ISO 9001:2015, ISO 21001:2018

 

nurture10102020@gmail.com // http://nurtureacademywelfaretrust.co.in

 

Regd. Office: Talgachhari, Ramnagar, East Medinipur-721441

Operation Office (Kolkata): 219/C, B.B.Chatterjee Road,  Saundaria Chatterjee, Kasba, Kolkata – 700042

Operation Office (Siliguri): Gitanjali Apartment, East Vibekananda Pally, Nazrul Sarani By Lane, Siliguri-734006

 

Printing, Designed and Marketing by

TAUREAN PUBLICATIONS

New Delhi, Kolkata

108/1A, Bidhan Nagar Road

Kolkata-700067

M: +91 8240535650, 9123681983, 9810703794

Email: taureanpublicationskolkata@gmail.com

Website: www.taureanpublications.co.in

 

সম্পাদকীয় কলমে

 

পুরনো বছরের বেলা শেষে পৃথিবীর আকাশে উঠেছে নব উষা। ভোরের বাতাস জানান দিচ্ছে নববর্ষের শুভারম্ভ। চারিদিকে আলোর ঢেউ, সভ্যতার শরীর থেকে যেন ধুয়ে যাচ্ছে পুরাতন গ্লানি।

 

আমরা সকলে ভুল করি,

ভুল-ঠিক বুঝতে পারা সম্ভব, সহজ!!

 

কোনও কিছুই সহজ নয়।

তবে সবকিছুই সম্ভব।

 

ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে।

সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এগোতে হবে।

 

It's Your RESPONSIBILITY to

Shape your OWN life

 

আনন্দের রঙে রঙিন পৃথিবীর মুখ। ঘরে ঘরে উৎসবের আয়োজন। এসো সকল ভেদাভেদ ভুলে প্রাণের নববর্ষকে আজ বরণ করি।

 

     মনোনীত সকল গুণী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক বৃন্দের অসামান্য সব লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে 'NAWT Express' পত্রিকার নববর্ষ সংখ্যা। সুস্থতা স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান- অবিজ্ঞান, জীবন জীবিকা,

সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয় কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, ছড়া, নাটক, বিজ্ঞান ইত্যাদি পত্রিকা জুড়ে চমৎকারিত্ব সৃষ্টি করেছে। এছাড়া যে সকল শুভানুধ্যায় 'NAWT Express' পত্রিকার কর্তৃপক্ষ, সম্পাদক মন্ডলী, NAWT সদস্য- সদস্যা পরিবার পত্রিকা প্রকাশের সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস পত্রিকাটি পাঠক মহলে সমাদৃত হবে সফলতা লাভ করবে। সকলকে জানাই ইংরেজি শুভ নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা।

 

সুপ্রকাশ প্রধান

 

 

 

NAWT EXPRESS MAGAZINE

NEW YEAR সংখ্যা 2024

 

সূচিপত্র

 

 

বিভাগ

পাতা

1

সুস্থতা ও স্বাস্থ্য

3-15

2

বিজ্ঞান- অবিজ্ঞান

16-17

3

জীবন ও জীবিকা

18-25

4

সাহিত্য ও সংস্কৃতি

26-38

 

 

 

 

প্রকাশ হোক, আপনার বই;

আমাদের সাথে

Nurture Academy Welfare Trust Publication

 

প্রতি পেজ 2/- খরচে

 

v  বিপণনের দায়িত্ব আমাদের।

v  বই পাওয়া যাবে অফ-অন লাইন দুই পদ্ধতিতে।

v  বই ISBN স্বীকৃত হবে।

v  আগে যোগাযোগে অগ্রাধিকার পাবেন কেবলমাত্র প্রথম 7 টি বই এর কাজে।

 

nurture10102020@gmail.com//8900173418

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সুস্থতা স্বাস্থ্য

 

পুষ্টি

দীপশিখা মাইতি

 

নয় রোগ, নয় ব্যাধি

দরকার নেই আর ঔষধি।

পুষ্টি চাই সর্বক্ষণে,

স্বাস্থ্য চাই দেহ মনে

মরবে কম, কমবে শোক,

খাবার খেয়েই সারবে রোগ।

জানবো আমরা খাদ্যগুণ,

ভাঙবো সবার অন্ধঘুন।

ডায়েট চার্ট করবো জয়,

ম্যালনিউট্রিশানের বিশ্ব ভয়।

পরিমাণে হোক একটুখানি,

বদলে দেবো ভ্রান্ত গ্লানি।

সবার কন্ঠে উঠবে জোয়ার,

বন্ধ হবে অস্বাস্থ্যের দোয়ার।

 

শিশুর স্বাস্থ্য

সোনালি গিরি

 

কাঁচা সবুজ সবজি খেলে

সতেজ হবে মন,

সুস্থ্য সবল দেহ হবে

যেমন প্রয়োজন।

 

সুষম খাবার রোগ-প্রতিরোধ

করবে বহুদূর,

তেমন খাবার খেতে হবে

পুষ্টিতে ভরপুর।

 

বাড়তি খাবার দিতে হবে

বয়স হলে ছয়,

রোগজীবাণু জব্দ টিকায়-

কিসের তবে ভয়!

 

শিশুর প্রতি সজাগ হলে

স্বাস্থ্য হবে ঠিক,

রূপোর দাঁতের শিশুর হাসি

করে রে ঝিকমিক!

 

পুষ্টি ছাড়া গঠন শিশুর

 

আস্তে হবে ক্ষয়,

সুস্থ্য হাসির শিশুর দেহ

বড় পরিচয়।

স্বাস্থ্যকর খাওয়া

সুস্থতা পাওয়া

NAWT সদস্য- সদস্যা

 

মা: কীরে? ওঠ?

আর কতক্ষণ ঘুমাবি।

স্কুল যেতে হবে তো।

কতক্ষণ ধরে ডাকছি, ওঠ।

 

ছেলে: উফ!

আর একটু ঘুমাই না মা!

 

মা: না, না।

আর ঘুমাতে হবে না।

ওঠ।

অনেক দেরি হয়ে গেছে,

ব্রাশ করে খেয়ে দেয়ে স্কুল যেতে হবে তো!

ওঠ!

5 মিনিটের মধ্যে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যা, আমি Breakfast নিয়ে আসছি।

 

ছেলে: উঠছি।  (মা breakfast আনতে যায়)

 

মা: (রান্নাঘর থেকে)

উঠেছিস তো? কী রে?

 

ছেলে: হ্যাঁ, উঠেছি।

 

মা: Ready হয়েছিস?

আমি গিয়ে যেন দেখি তুই ready হয়ে বসছিস।

 

ছেলে: হ্যাঁ, আমি ready মা।                                                                (হাতে চকলেট নিয়ে)

মা: নে তাড়াতাড়ি খেয়ে নে।                                       (ঘরে breakfast নিয়ে ঢুকতে ঢুকতে)

হাত ধুয়েছিস তুই?

আবার চকলেট!

সকাল হতে না হতেই, চকলেট!

রাখ ওটা।

 

ছেলে: মা!

কী breakfast এনেছো?

 

মা: এই নে! বেশি কথা না!

আগে, মধু দিয়ে তুলসী পাতার রস খেয়ে নে।

 

ছেলে: না! খেতে ভালো লাগে না, মা!

মা: এটা খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো। বলছি তো খা!

ছেলে: ওহ! মা।

মা: নে, নে।

এবার, Breakfast টা তাড়াতাড়ি খেয়ে নে।

দেরি হচ্ছে তো।

আমি, স্কুলের Bag টা ঠিক করে গুছিয়েছিস কিনা দেখে নিয়ে আসি।

ছেলে: হ্যাঁ মা যাও।

মা: গোছানো আছে ঠিক ঠাক।                                   (Bag টা রেখে যায়)

আমি জলের বোতল টা নিয়ে আসি।

সবটা যেন শেষ হয়।

ছেলে: একটু একটু খেয়ে বাকিগুলো রেখে

দেয়।                                                                                        (বাড়িতে থাকা চিপস চকলেট bag এর মধ্যে লুকিয়ে ঢুকিয়ে নেয়, মা আসার আগে।)

মা: আরে তুই খেলি কই!

সব তো রেখে দিলি।

ছেলে: আমার এসব ভালো লাগে না।

আমার পেট ভর্তি।                                          (Bag নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়)

মা: দাঁড়া, আমি আসছি।

ছেলে: আচ্ছা।                                     (মা ছেলে কে স্কুলে ছেড়ে দিয়ে এল স্কুটিতে করে। স্কুল ছুটির সময়, মা ছেলে কে আনতে গেল।)

ছেলে: মা চকলেট খাবো, চকলেট খাবো।

মা: আবার চকলেট।

যে কটা আছে, সব দাঁত গুলো এবার পোকা হয়ে যাবে, খুলে ফেলতে হবে।

ছেলে: তাহলে একটা চিপস কিনে দাও।

মা: না!

বাড়ি চল!

সোজা বাড়ি চল!        

(ছেলে কাঁদতে থাকলো, মা টানতে টানতে বাড়ি নিয়ে গেল)

(মা খাওয়ারের সঙ্গে শাক, সব্জি খেতে দিলে। ফল খেতে দিলে।        ছেলে সেগুলো সবটা খায় না।)

এইভাবে কিছু দিন কেটে যায়।

একদিন সকালবেলা প্রতিদিনের মতো।

মা: কীরে ওঠ!

স্কুল যাবি তো!

কতক্ষণ ধরে ডাকছি, ওঠ!

ছেলে: মা!

দাঁত টা খুব যন্ত্রনা করছে।

পেট ব্যাথা করছে, মা!

খুব ব্যাথা করছে দাঁত, ঘুমোতে ঠিক করে পারিনি।

 

মা: দাঁত ব্যাথা হচ্ছে? দেখি তো?                                             (ছেলের গায়ে হাত দিলো)

ওমা!

একি রে?

তোর তো খুব জ্বর!

ঘুমা একটু,

আজ স্কুল যেতে হবে না।

একটু পরেই ডাক্তার বাবুর কাছে যাবো।

 

ছেলে: ডাক্তার?

না না !আমি যাব না।

 

মা: না injection দেবে না।

আমি ডাক্তারবাবু কে বলে দেব,   injection দেবেনা।

 

ছেলে: সত্যি তো মা!

 

মা: হু!

হোক দাড়া,

আগে brush করে

লেবুর সরবত খেযে নে,

আমি  breakfast আনছি।

 

ছেলে: হু

মা: এখনও উঠলিনা?              

(breakfast নিয়ে আসে)(বাচ্চা তখনও ঘুমিয়ে)

একটু খেয়েনে বাবা!

তারপর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব তো?

 

ছেলে:  আচ্ছা,

না!                                          

(তারপর কয়েক ঘন্টার পর যাওয়া হয়)

ছেলে: মা!

ডাক্তারবাবু, injection দেবে না তো?

 

মা: না,

আয়!

ডাক্তারবাবু:

বাবু, তোমার নাম কি? 

কোন ক্লাসে পড়ে?

কী হয়েছে ওর?

(মার দিকে তাকিয়ে)

(বাচ্চা ভয়ে কিছু বলেনা)

মা: ওর খুব জ্বর, দাঁতে যন্ত্রনা সাথে পেট ব্যথা, মাথা যন্ত্রনা আছে। আর!

ডাক্তারবাবু: বুঝেছি!

হাতটা দেখি তো!

আচ্ছা দেখি

চোখ দেখি!

জিভ বের করো।

বড়ো করে জিভ বের করো তো দেখি।

ছেলে: চুপ চাপ থাকে।                                                            (ডাক্তারবাবুর কথা শোনে)

ডাক্তারবাবু: কত চকলেট খাওয়া?

হাত ধোও ভালোভাবে? 

ব্রাশ ভালোভাবে কর তুমি?

ছেলে: হ্যাঁ।

হাত ধুই!

Brush করি।

 

ডাক্তারবাবুর: আর চকলেট?                                                   (ছেলে চুপ থাকে)

মা: বল! এবার বল! ডাক্তারবাবুর, শাকসবজি কিছু খায় না।

শুধু চকলেট, চিপস, কুরকুরে, পেটিস, আর......

 

ডাক্তার: এসো!

কী?

দেখেছো তো!

এই জন্যই তোমার পেট ব্যথা,

মাথা যন্ত্রনা হয়।

দেখাও দেখি তুমি  কেমন হাত ধোও?

(বাচ্চা দেখায়)

 

ডাক্তার:  না এইভাবে না।                    (সঠিক পদ্ধতি দেখায় - নাচের মাধ্যমে)

 

এইভাবে করবে নয়তো আরও শরীর খারাপ হবে।

আমি যেভাবে দেখিয়ে দিয়েছি, সেভাবে করবে।

আর যদি পরের বার শরীর খারাপ হয়।

আমি যদি জানতে পারি,

তুমি ঠিক ভাবে হাত ধোও না।

তাহলে পরের বার আমি injection দেবো।

আর মার কথা শুনবে।

মা যা খেতে দেবে খাবে।

বিশেষ করে, শাকসবজি, ফলমূল দুধ।

ছেলে: ঠিক আছে ডাক্তারবাবু।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য

শ্রেয়া পাত্র

 

সুস্থ শরীর হচ্ছে---

     সুস্থ জীবনের প্রতিবিম্ব

সুস্থ স্বাস্থ্য

   সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি ।

সম্পদ নয়,

স্বাস্থ্য কে গুরুত্ব দিন।

সুস্থ থাকবে শরীর তোমার

      যদি খাও পুষ্টিকর খাবার।

খালি পেটে জল খাবো

        সুন্দর স্বাস্থ্য গড়বো।

সুস্থ জীবনের আরেক নাম

         যোগাসন ও ব্যায়াম।

সুভ্যাস গড়ে তুলুন

     রোগমুক্ত জীবন গড়ুন।

সুস্থ স্বাস্থ্যের আসল ছাপ

   হাত ধোয়ার কয়েকটি ধাপ।

সাদা দাঁত ও কালো চুল

এদের অযত্ন করা ভুল।

স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রাণ

   খেলা ধুলা ও নাচ-গান,

চিপস,পিজ্জা শীতল পানীয়

  শরীরে জন্য তা অপ্রিয়,

স্বাস্থ্য হচ্ছে আসল সম্পদ।

শিশু জীবনের মূল প্রয়োজনীয়তা

  মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা,

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

     স্বাস্থ্য বান হয়ে উঠুন।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

    সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা।

ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন

   সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।

তোমার স্বাস্থ্য তোমার স্বাস্থ্য

 মিলিয়ে গড়বো বিশ্ব স্বাস্থ্য।

 

ফল

সুস্মিতা পাত্র

 

আম খেলে ঘুম হয়

জাম খেলে রক্ত,

আখ খেলে হয় জানি

দাঁত বড় শক্ত।

আসুখেতে আনারস

পেট সাফে বেল,

পাকাকলা  লিচু তালে

দেহে বাড়ে তেল।

পেঁপে আর কাঁঠালেতে

বেড়ে যায় ননী,

জলপাই তেঁতুলেতে

জিভে আসে পানি।

পেয়ারাতে চেহারাটা

করে ঝিকমিক,

বিধি মেনে ফল খেলে

দেহ থাকে ঠিক।।

 

Wellness and Health

Ayantika Bose

 

Wellness and health are two closely related concepts but encompass different dimensions of an individual's overall well-being. They are critical components of a fulfilling and balanced life and their intersection is essential for achieving optimal physical, mental and emotional health. While they share common goals of promoting physical and mental well-being, they differ in their scope and approach.

Health refers primarily to the physical state of an individual's body. It encompasses the proper functioning of bodily systems and the ability to carry out daily activities without any hindrance. Health is often assessed by medical professionals through diagnostic tests. Good health is often considered a foundational element of overall well-being.

Wellness, on the other hand, is a more comprehensive concept that includes physical health but extends to mental, emotional and social dimensions. It emphasizes a proactive approach to achieving and maintaining a state of well-being across all aspects of life.

Physical health involves the body's ability to function optimally. This includes factors like regular exercise, a balanced diet, adequate sleep and avoiding harmful habits such as smoking or excessive alcohol consumption. Maintaining physical health is crucial for preventing diseases and enjoying a higher quality of life.

Mental health refers to an individual's emotional and psychological well-being. It encompasses factors like managing stress, anxiety and depression. Good mental health is essential for coping with life's challenges and enjoying positive relationships.

Emotional health relates to one's ability to recognize, understand and manage their emotions effectively. It involves self-awareness, self-regulation and healthy interpersonal relationships. Emotional well-being contributes to a sense of contentment and inner peace.

Intellectual wellness involves the pursuit of lifelong learning, critical thinking and intellectual stimulation. It encourages curiosity, problem-solving and the development of cognitive skills.

Social wellness pertains to the quality of an individual's relationships and their ability to engage in meaningful social interactions. Healthy social connections are essential for emotional support, personal growth and a sense of belonging within a community.

Environmental wellness considers the impact of one's surroundings on overall well-being. It involves practices such as sustainable living, environmental responsibility and minimizing exposure to environmental toxins.

Achieving wellness involves integrating physical, mental and emotional health as well as maintaining a sense of purpose and engagement in life. It is about making conscious choices that promote a balanced and fulfilling existence.

Spiritual wellness pertains to the exploration of one's purpose, values, and beliefs, as well as the quest for inner peace and a sense of connection to something greater than oneself.

Wellness often emphasizes preventive care and lifestyle choices that reduce the risk of health problems. Regular check-ups, vaccinations and early intervention for potential health issues are essential components of a wellness-focused approach.

Lifestyle choices significantly impact both health and wellness. These include diet, exercise, sleep, stress management and the avoidance of harmful habits. Adopting a healthy lifestyle can prevent diseases and promote overall well-being.

It's significant to recognize that wellness and health can vary from person to person and across cultures. What constitutes wellness and health may differ based on individual needs, values and beliefs.

Ensuring access to healthcare services is crucial for maintaining both health and wellness. Equitable access to medical care, mental health services and preventive measures is essential for promoting well-being in society.

In conclusion, wellness and health are intertwined aspects of an individual's overall well-being. Health primarily focuses on physical well-being while wellness takes a more holistic approach; encompassing mental, emotional and social dimensions. Both are essential for leading a fulfilling life and the pursuit of wellness often involves proactive choices and behaviour that promote health across all dimensions of our well-being.

 

স্বাস্থ্যে গুণের আলো

সুপর্ণা দে

 

পুষ্টি জীবনের শক্তি মূল্যবান দান,

স্বাস্থ্যে প্রধান ,এই জীবন মহান।

 

ভিটামিনের শক্তি সব সময় সাথে,

শরীরের সাজানো স্বাস্থ্যের পথে।

 

ভিটামিন A দেয় চোখে রোশনি,

দৃষ্টি সুস্থ রাখে এই ভিটামিনই।

 

ভিটামিন E টক, ঝাল, মিষ্টি,

মুক্ত মিলানে, রোগের প্রতি প্রতিরোধ সৃষ্টি।

 

ভিটামিন D সূর্যের কিরণে,

শক্তি যোগায় মানুষের জীবনে।

 

ক্যালসিয়াম, দুধ, পনির, সুস্থ্যতা,

হয় মজবুত হাড়, দন্ত,দেয় দর্জা।

 

আয়রন ,হিমোগ্লোবিন ,অধিক উপকারী,

প্রজন্ম সুস্থ্য থাকুক, এই কামনা করি।

 

মিনারেল গুলো সব অমূল্য অতীতের রানী,

স্বাস্থ্যে উজ্জ্বল,ভবিষ্যতের প্রতীক জানি।

 

স্বাস্থ্যে পুষ্টির মহত্ব অমূল্য,

 যা বোঝায় স্বাস্থ্যের গুরুত্ব।

 

পুষ্টি,ভিটামিন,মিনারেল-সব সময়ের সঙ্গী,

ইহা প্রদান করে স্বাস্থ্যের সমৃদ্ধি।

 

পুষ্টি নিয়ে ভাবি

NAWT সদস্য- সদস্যা

 

সুস্থ থাকবে শরীর তোমার,

যদি খাও পুষ্টিকর খাওয়ার।

 

সুষম খাদ্য, খেয়ে চলুন।

রোগ মুক্ত, জীবন গড়ুন।

 

সু-অভ্যাসের আসল ছাপ,

হাত ধোয়ার পাঁচটি ধাপ।

 

নিয়মিত ব্যায়াম সঠিক আহার হলো, স্বাস্থ্যকর জীবনের আধার।

 

চিপস, তেলেভাজা, শীতল পানীয়,

শরীরের জন্য তা অপ্রিয়।

 

প্রতিদিন করো স্নান,

শরীর রাখো অম্লান।

 

খালিপেটে জল খাবো,

সুন্দর স্বাস্থ্য গড়ে তুলবো।

 

অতিরিক্ত তেল-চর্বি যুক্ত খাবার জাঙক-ফুড পরিহার করি,

সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি।

 

ডিম খাবো, মাছ খাবো।

ফল খাবো, শাক সব্জি খাবো,

বেশি বেশি পুষ্টি পাবো।

 

খাবো সকালে ভারী খাবার।

হবে নাকো শরীর খারাপ।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য

শ্রেয়া পাত্র

 

সুস্থ শরীর হচ্ছে---

     সুস্থ জীবনের প্রতিবিম্ব

সুস্থ স্বাস্থ্য

   সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি ।

সম্পদ নয়,

স্বাস্থ্য কে গুরুত্ব দিন।

সুস্থ থাকবে শরীর তোমার

      যদি খাও পুষ্টিকর খাবার।

খালি পেটে জল খাবো

        সুন্দর স্বাস্থ্য গড়বো।

সুস্থ জীবনের আরেক নাম

         যোগাসন ও ব্যায়াম।

সুভ্যাস গড়ে তুলুন

     রোগমুক্ত জীবন গড়ুন।

সুস্থ স্বাস্থ্যের আসল ছাপ

   হাত ধোয়ার কয়েকটি ধাপ।

সাদা দাঁত ও কালো চুল

এদের অযত্ন করা ভুল।

স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রাণ

   খেলা ধুলা ও নাচ-গান,

চিপস,পিজ্জা শীতল পানীয়

  শরীরে জন্য তা অপ্রিয়,

স্বাস্থ্য হচ্ছে আসল সম্পদ।

শিশু জীবনের মূল প্রয়োজনীয়তা

  মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা,

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

     স্বাস্থ্য বান হয়ে উঠুন।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

    সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা।

ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন

   সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।

তোমার স্বাস্থ্য তোমার স্বাস্থ্য

 মিলিয়ে গড়বো বিশ্ব স্বাস্থ্য।

 

ভারতীয় সমাজ এবং পুষ্টি

সুকন্যা মাইতি

 

বাঙালিদের বরো মাসে তেরো পার্বন। আর উৎসবকে কেন্দ্র করেই বাঙালিদের আবেগ, উচ্ছ্বাস থেকে শুরু করে নানাবিষ নিয়ম রীতি। আর উৎসবের প্রধান কেন্দ্র বিন্দুই হল খাদ্য। কেবল বাঙালি নয় দেশে বিদেশে সর্বত্রই উৎসবের সাথে মেলবন্ধন রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের। যেমন-ভারতীয় সমাজে পায়েস ছাড়া জন্মদিন অসম্পূর্ণ, ঠিক তেমনি বিদেশে কেক কাটিং ছাড়া জন্মদিন অসম্পূর্ন। বিশেষ করে আমাদের ভারতীয় সমাজে থান্যকে কেন্দ্র করে রয়েছে হাজারো প্রথা, জড়িয়ে রয়েছে হাজারো কুসংস্কার। ভারতীয় সমাজে রয়েছে 'খাদ্যপুষ্টি' শিক্ষার অভাব। সচেতনতার অভাবে মানুষের জীবন আজ জরাগ্রস্ত। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ যেন মানুষের নিত্যসঙ্গীতে পরিনত হয়েছে। সঠিক পরিমান সঠিক পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণই পারে এইসমস্ত রোগকে চিরতরে নির্মূল করতে পারে।

 

অত্যধিক তেলমশলা বর্জিত খাদ্য, সঠিক সময় খাদ্যগ্রহন, যথেচ্ছ পরিমান ঘুম- এই বিষয়গুলি যদি আমরা একটু সচেতনতার সাথে খেয়াল রাখি বদহজম থেকে রেহাই পেতে পারি। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে চাইলে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের মধ্যে সবুজ শাকসবজির পরিমান

 

বৃদ্ধি করতে হবে। শাকসব্জিতে থাকা ডায়েট্রি ফাইবার পরিপাক নালীর চলনক্ষমতা (পেরিসটলসিস) বজায় রাখে, ফলে ভাত রুটি যদি ২৫% গ্রহন করি তবে সবজি গ্রহন করতে হবে ৭৫%

 

মাথাব্যাথার অন্যতম কারন হল বর্তমানের জীবনযাত্রা। অত্যধিক ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা, অ্যালকোহল আসক্তি ইত্যাদিই হল মাথাব্যাথার অন্যতম কারন। মাথাব্যথা এমনই একটি অসুখ যা থেকে মানুষ ডিপ্রেশনে পর্যন্ত যেতে পারে। তাই, নিজের শরীরের সাথে মনের যন্ত্রও প্রয়োজন। আর সঠিক খাদ্য কিন্তু, আমাদের মনের অবস্থা ঠিক করতে সক্ষম।

 

বর্তমান দিনে ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন। মানুষের ভ্রান্ত ধারনা- ডায়াবেটিস কখনোই নির্মূল করা সম্ভব নয়। বাস্তবে দেখা যায়, সঠিক পদ্ধতিতে সঠিক খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নির্মূল করা সম্ভব। সমাজে সকলের মতে ডায়াবেটিস রোগী নির্দিধায় মুড়ি খেতে পারে। মুড়ি কার্বোহাইড্রেট এর উৎকৃষ্ট উৎস, যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৯৫, অর্থাৎ মুড়ি রক্তে শর্করার পরিমান বিপুল পরিমানে বৃদ্ধি করে। তাই, মুড়ি গ্রহনের সাথে যদি আমরা কাঁচাছোলা, সব্জি গ্রহন করি তবেই তা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে। ভারতীয় খাদ্যাভাসে ভাত, মুড়ি, রুটি হল প্রধান খাদ্যবস্তু যা কার্বোহাইড্রেট এর উৎস। ফলে আমরা কেবলই, কার্বোহাইড্রেট খাই। সুষম খাদ্য গ্রহন করতে হবে। প্রোটিন (ডিম, দুধ) কম ফ্যাট যুক্ত মাংস, ঘি, তেল সমস্ত উপাদান সুষমভাবে গ্রহণ করতে হবে।

 

ভারতীয় সমাজে আজও নারী পুরুষ একসাথে খাদ্য গ্রহন করেন না। বাড়ির পুত্র সন্তান পায় মাছের বড় অংশ এবং কন্যা সন্তান পায় ছোট অংশ। সমাজে আজও এরকম হাজারো প্রথা চালু আছে। সমবেতভাবে সকলের উদ্যোগে সমাজের নিম্নস্তর অবধি আমাদের সচেতনা পৌঁছে দিতে হবে। মানুষের আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সমবেত উদ্যোগের মাধ্যমেই এই সমস্ত সমস্যা নির্মূল সম্ভব।

 

ভারতের বেশির ভাগ মানুষ নিজের দৈনিক চাহিদা সম্পর্কেই অবগত নন। আর্থিক অভাবের কারণে, শিক্ষার অভাবে মানুষ নিজের চাহিদা পূরণে অক্ষম। তবে আই.সি. এম. আর, এন. আই. এম এর মত সংস্থা সকল স্তরের আর্থিক অবস্থা সম্পন্ন ব্যাক্তির জন্য নিজনিজ শারিরীক কর্মের ভিত্তিতে খাদ্যতালিকা প্রস্তুত করেছেন। আমাদের সকলের উচিৎ নিজ নিজ চাহিদার সম্পর্কে অবগত থাকা এবংসেই অনুযায়ী খাদ্যগ্রহন করা।

 

মানব শরীরে প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ একে অপরের সহিত নির্ভরশীল। কেবলমাত্র সঠিক পরিমান খাদ্য গ্রহন করলেই চলবে না। প্রয়োজন সেই খাদ্যের সঠিক পরিপাক। সঠিক পরিপাক হলেই শোষন, আত্তীকরণের মাধ্যমে আমাদের দেহ পুষ্টি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং সঠিক পরিপাক প্রয়োজন সুস্থ অস্ত্র। অস্ত্রের ক্রিয়াশীলতা সুসম্পন্ন রাখতে প্রযোজন গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম। এনজাইমের সঠিক ক্রিয়াশীলতার জন্য প্রয়োজন হরমোনের সঠিক কার্যকারিতা। আর হরমোনের গঠন ঠিক রাখতে প্রয়োজন অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা হল প্রোটিনের গঠনগত কার্যগত একক। এছাড়াও, দেহে নতুন কোশ তৈরি করে বৃদ্ধি বজায় রাখতে

 

প্রয়োজন প্রোটিন। এই সমস্ত খাদ্যোপাদান প্রয়োজন দেহকে সুসংগত কার্যক্ষম রাখতে। দেহকে কর্মক্ষম। রাখার সাথে রোগ প্রতিরোধী রাখতে প্রয়োজন সমস্ত পুষ্টি উপাদান। সেই সঙ্গে প্রতিদিন শরীরচর্চা করা উচিত।

 

 

 

 

 

পথ্য প্রয়োজনীয়তা প্রাপ্ত বয়স্ক স্বল্প পরিশ্রমী

মধুমিতা পাল

 

বিভাগ

স্বল্প পরিশ্রমী

পুরুষ

মহিলা

দানাশস্য মিলেট

270

200

ডাল

70

50

সবুজ শাক

100

100

অন্যান্য সব্জি

200

200

মূল কন্দ

100

100

ফল

100

100

দুধ

300

300

মাছ, মাংস, ডিম

20

15

তেল

20

20

চিনি

20

20

পুষ্টি প্রয়োজনীয়তা

শক্তি

2100

1650

প্রোটিন

75

60

ফ্যাট

30

20

শর্করা

382.50

307.50

 

খাদ্য পুষ্টি

 

মাছ মাংস মিষ্টি চিনি মৃত মাখন পায়েস পোলাও

এর চেয়ে অনেক ভালো গাজর কপি সিম কচু লাউ,

নিরামিষ খাও থাকবে ভালো বাঁচবে অনেক দিন

ঝাল-মশলা কম খেলে রবে যুগ্ম পীড়াহীন,

আম আনারস কাঁঠাল খাবে বাদাম আতা কলা লেবুর সরবত রোজ খাবে স্লাসভরে সকাল বেলা,

ফলে আছে ভিটামিন আছে খনেজ কাবাব

বেশি বেশি খেলে বসুন কছু হবে না ক্যান্সার।

কুমড়া শশা মুখ মশুরি মটর ছোলার ডাল

টমেটো পটল আলু খাবে খাবে ঢেকি ছাঁটা চাল

তেলে ভাজা পিঠে-পুলি পরোটা পে বিরিয়ানি এসব খেলে বাড়বে ভুঁড়ি হৃদরোগ হবে জানিখাদ্য পুষ্টি।

জানিঝাল-মশলা আর চর্বি খাবার চরম ক্ষতিকর নিম খেলে হয় না সর্দি,

হোক সে তিতা ঝোক আমলকি খাও, বাড়বে রুচি উচ্ছে অরুচি যার মুখে করলা কাকরোল খেলে নীরস রবে সুখে খায় যদি কেউ হাট বাজারের ঢাকনাহীন।

খাবার পেটের অসুখ, আমাশা তার হবে বার বার। সতর্কতা মৃত্যু অধিক,

স্বাস্থ্যবিধির ধূমপানে ধূমপায়ীদের জীবননাশ প্রতি টানে টানে ধূমপান হল বিষপান,

এমে নিরবে হরে প্রান।

মিথ্যা নয় নীতিবাক্য, ধূমপায়ীরা সাব্বান

বিড়ি সিগারেট মদ হিরণ আর গাঁজা এসব ঘাতক নেশা ছাড়ো, না হয় পাবে কঠিন সাজা সবার সেরা খাবার মোদের দুগ্ধ পানীয় জলন

খাদ্যপ্রাণে ভরপুর দুধে বাড়ায় শক্তি কল হিসাব করে খাবার খেলে সুস্থ রবে আজীবন স্বাস্থ্য সকল সুখের মন আমাদের স্বাসথ্যই মহাধন।

 

অপুষ্টি

কোয়েল বারিক

 

অপুষ্টির আচ্ছাদনে ও ফুটে উঠুক পুষ্টি

আহারে রোজ থাক সবুজ শাক সবজি _

 

শক্তির সকল উৎস থাক রোজকার  খাদ্যে

দানাশস্য - ডাল থাক সকলের আর্থিক সাধ্যে_

 

কোষ - কলা দৃঢ় হোক দেহের ভেতরে

প্রোটিন সমৃদ্ধ হোক দেহের আঁতুড়ে_

 

পাতে অল্প থেকে যাক ভোজ্য তেল বা ঘি

ফ্যাট সমৃদ্ধ খাদ্যে হোক খাওয়ার শ্রী

 

¢nö J h¡s¿¹ ¢nö­cl Bq¡l °a¢l J f¢l­hn­el ­r­œ ‘¡ahÉ ¢hou pj§q

শ্রেয়া দত্ত

 

Ruj¡p hup f§eÑ q­m ¢nöl °ce¢¾ce M¡­cÉ f¢l­f¡oL Lj­a b¡­L, g­m ­a¡m¡ M¡h¡l öl¦ Ll¡ BhnÉLz ¢nö­L Ruj¡p hup fkÑ¿¹ öd¤C j¡­ul c¤d M¡Ju¡­a q­hz c¤C hRl hup fkÑ¿¹ j¡­ul c¤d M¡Ju¡­e¡ i¡­m¡z

·       Ruj¡p hup f§eÑ q­m ¢nö­L AeÉ¡eÉ p¡d¡le M¡h¡l i¡a, X¡m, p¢ê, gm, j¡R, ¢Xj CaÉ¡¢c d¡­f d¡­f M¡Ju¡­a q­hz

·       °nn­h, °L­n¡­l J huxp¢å­a nl£l, je J hÉ¢š²­aÆl hª¢Ü J ¢hL¡­nl SeÉ k­bø f¢lj¡­e f¤¢øLl M¡h¡l ­M­a q­hz

·       ­a¡m¡ M¡h¡l ­cJu¡ öl¦ Ll­m fËb­j ¢nö­L HL¢V ea¥e M¡cÉ AÒf pj­ul hÉhd¡­e ­cJu¡ E¢Qaz

·       ­a¡m¡ M¡h¡l ¢nöl ­c­q ­L¡­e¡ AÉ¡m¡¢SÑ pª¢ØV Ll­R ¢Le¡ a¡ i¡mi¡­h ¢el£re Ll­a q­h, k¢c qu a¡ q­m I M¡h¡l ­L ¢LR¥¢ce hå l¡M­a q­hz

·       ¢nö­L f¢lh¡­ll pL­ml p­‰ M¡h¡l f¢l­hne Ll¡­m, f¢lh¡­ll M¡cÉ¡i¡­pl p­‰ pq­S f¢l¢Qa Ll¡ k¡uz

·       ­L¡­e¡ ¢e¢cÑø M¡h¡l k¢c ¢nö ­M­a e¡ Q¡u a¡ q­m ­S¡l e¡ L­l, I M¡h¡l ¢LR¥¢ce hå l¡M¡ E¢Qaz

·       BLoÑL ­L¡­e¡ f¡­œ ¢nö­L M¡h¡l f¢l­hne Ll­m, a¡ ¢nöl M¡cÉ NËq­el CµR¡­L h¡¢s­u ­a¡­mz

·       h¡s¿¹ ¢nö­cl ­r­œ ­m¡q¡ J LÉ¡m¢nu¡j pjªÜ M¡cÉ (­kje - c¤d, ­R¡­V¡ j¡R, ph¤S n¡L p¢ê) NËqe Ll¡ E¢Qaz

¢nöl Bq¡l °a¢ll pju paLÑa¡:

1z Bq¡l °a¢l Ll¡l B­N q¡a i¡m L­l p¡h¡e ¢c­u d¤­a q­hz

2z n¡Lp¢ê L¡V¡l B­NC d¤­u ¢e­a q­h, L¡V¡l f­l Bl S­m ­d¡u¡ E¢Qa euz

3z l¡æ¡u A¢a¢lš² Sm hÉhq¡l Ll¡ E¢Qa euz

4z ­am A¢a¢lš² Nlj h¡ f¤¢s­u ­gm­he e¡z

5z j¡R Ls¡ L­l i¡S­he e¡z

­l¡­Sl M¡h¡­l AhÉnC Sl¦l£ M¡cÉ:

Ø npÉ S¡a£u M¡cÉ : Q¡m, Nj, i¥–¡, ¢Q­l, j¤¢s, Sh, X¡¢mu¡z

Ø ­fË¡¢Ve : ¢h¢iæ lLj X¡m, h¡c¡j, j¡R, j¡wp, ¢Xj, c¤d, pu¡¢hez

Ø ph¤S n¡hp¢ê : ¢h¢iæ n¡L-f¡a¡, N¡Sl, ­fy­f, j§­m¡, fVm, ­h…ez

Ø ¢h¢iæ l­Pl gm : Lm¡, B­fm, ­fu¡l¡, p­hc¡, Bj, ¢mQ¥z

Ø ­am h¡ Q¢hÑ S¡a£u : ­am, ¢O, j¡Mez

Ø ¢Q¢e h¡ …s

Ø f¢l¢ja f¡e£u Sm

 

গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়ের পথ্য প্রয়োজনীয়তা

শুভেচ্ছা দাস

 

বিভাগ

গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী

গর্ভবতী

স্তন্যদাত্রী

0-6

7-12

দানাশস্য মিলেট

240

270

270

ডাল

60

70

70

সবুজ শাক

150

150

150

অন্যান্য সব্জি

200

200

200

মূল কন্দ

100

100

100

ফল

150

150

150

দুধ

400

400

400

মাছ, মাংস, ডিম

20

20

20

তেল

20

20

20

চিনি

20

20

20

পুষ্টি প্রয়োজনীয়তা

শক্তি

2000

2245

2200

প্রোটিন

70

70

75

ফ্যাট

20

30

25

শর্করা

385

423.75

418.75

 

 

 

 

 

খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন

Isita Pal, Aditi Pahari , Anushree Samanta

Tanuja Pal, Susmita Shit

 

[একদিন সকালে 11:00 টার সময় একটি বাড়িতে Health Department থেকে দুজন মেয়ে এল। তখন কাকিমা বসে খাচ্ছিলেন।তখন তারা বলল]-

(কাকিমা খাচ্ছিলেন)

 

প্রথম মেয়ে:-  কাকিমা বাড়িতে আছেন!

(মেয়েগুলো দরজার কাছে এসে বলল)

 

কাকিমা:- হ্যাঁ আছি ,কে বলেছেন?

 

প্রথম মেয়ে:- আমার Health Department থেকে এসেছি। আপনার সাথে কিছু কথা বলতে চাই।

 

কাকিমা:- ও! আচ্ছা ভিতরে আসুন  ভিতরে আসুন।

 

দ্বিতীয় মেয়ে:- আপনি কি ব্যস্ত আছেন!

 

কাকিমা:- না না ব্যস্ত নেই। কী  দরকার বলুন।

 

দ্বিতীয় মেয়ে:- আপনি কী করছেন।

 

কাকিমা:- এই সকালের পূজো   করছিলাম এরপর খেতে বসবো।

 

প্রথম মেয়ে:- কিঃ!এই 11:00 টার সময় খেতে বসবেন।

 

কাকিমা:- হ্যাঁ, আমি তো প্রতিদিন এই সময়ে খাবার খাই।

 

দ্বিতীয় মেয়ে:-  তাহলে আপনি সকালের খাবার কখন খান।

 

কাকিমা:-  যদি কোনো দিন সময় থাকে তাহলে চা বিস্কুট খাই , নাহলে এই পুজোর পরেই সকালের খাবার খাই।

 

প্রথম মেয়ে:-  কিঃ আপনি এই সময়ে খাবার খান। (অবাক হয়) । তাহলে আপনি দুপুরের খাবার কখন খান।

 

কাকিমা:-  এই সকালের খাবার খেয়ে দুপুরবেলার রান্না করে করে সব কাজ শেষ করে এই ধরুন 3:00 থেকে 3:30 টা বেজে যায় খাবার খেতে।

 

দ্বিতীয় মেয়ে:- তাহলে আপনি সন্ধ্যা ও রাতের খাবার কখন খান।

 

কাকিমা:- কেউ যদি চা করে দেয় তাহলে 6:00 থেকে 6:30 নাহলে ‌যদি আমি চা করি তাহলে ঐ 7:00 থেকে 8:00 টার সময় খাই। আর রাতের রান্না করে খেতে খেতে ' 12:00-12:30 টা বেজে যায়।

 

দ্বিতীয় মেয়ে:- তাহলে আপনি ঘুমোতে যান কখন।

 

কাকিমা:- রাতে সমস্ত কাজ করে সবার সাথে একটু গল্পগুজব করে ঘুমোতে ঘুমোতে 1:00-1:30টা  বেজে যায়।

 

প্রথম মেয়ে:-  আপনি এটা কী বলছেন! (অবাক হয়) ।

আপনি যদি এইভাবে খাবার অনিয়ম করতে থাকেন তাহলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

 

কাকিমা:- আমার তো  তেমন কোনো অসুবিধা হয়ে না।

 

দ্বিতীয় মেয়ে:- সত্যি কিঃ আপনার কোনো অসুবিধা হয়ে না। যেমন ধরুন মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরানো এই রকম কোনো অসুবিধা হয়ে না।

 

কাকিমা:- হ্যাঁ, মাঝে মাঝে একটু মাথা ঘোরায় । আর হজমের সমস্যা হয়। খাবার হয় না ঠিক মতো।

 

প্রথম মেয়ে:- হ্যাঁ এইরকম অসুবিধা তো হবে। এখন আপনি বুঝতে পারছেন না। কিন্তু আপনার যত বয়স হবে এই  অসুখ আরও বড়ো আকার ধারণ করবে। এবং আরও দূর্বল হয়ে পড়বেন।

[এই কথা শুনে কাকিমা ভয় পেয়ে গেলেন। ]

(এরপর)

 

কাকিমা:- আপনারা এই সব কি বলছেন!

 

দ্বিতীয় মেয়ে:- দেরি করে খাবার খেলে বা খাবার অনিয়ম করলে কী কী অসুখ হয় আপনি শুনুন! -

 ‌‌দেরি করে খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক,আলসার, বদহজম, ওজন হীনতা সংক্রান্ত রোগ হয়।

 

কাকিমা:- এই সব রোগ দূর করার কি উপায় আছে?

 

প্রথম মেয়ে:- তাহলে শুনুন! খাবার সবসময় ঘুম থেকে উঠার 1ঘন্টা মধ্যে খেতে হবে।আর আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে সকালের খাবার যেন                                                                                                                                                                           সারাদিনের খাবারের থেকে ভারি হয়।আর দুপুরের খাবার খাওয়া উচিত 1:00-1:30 এর মধ্যে। এবং বিকেলের খাবার খাওয়া উচিত 6টা মধ্যে। আর রাতের খাবার 10:00টার মধ্যে খেয়ে নেওয়া উচিত। আপনি ও আপনার বাড়ির লোকজন যদি খাবারের মেনে চলেন তাহলে আপনার শরীরের কোনো হ্মতি হবে না।

 

কাকিমা:- ও আচ্ছা। এরপর থেকে আমি এবং আমার পরিবারের সবাই খাবার সময় মতো maintain করব।

[আপনারা যারা দর্শক আছেন আপনারা ও মনে রাখবেন যে ঠিক সময়ে খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক, আলসার,বদধজম , সংক্রান্ত কোনো রোগ হবে না। এবং আপনার ও আপনার পরিবারের সবাই সুস্থ সবল থাকবে। এবং শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করবে]। (প্রস্থান)

 

LÉ¡ep¡­ll M¡cÉ ¢Q¢Lvp¡

সুপ্রকাশ প্রধান J শ্রেয়া দত্ত

 

p¡d¡le ­L¡­ol pª¢ø J dÆw­pl j­dÉ eÉ¡Q¡l¡m hÉ¡m¡¾p eø q­u ­N­m j¡œ¡ R¡s¡ Aü¡i¡¢hL ­L¡o¢hi¡S­el g­m L¡l¢p­e¡j¡ Hhw p¡l­L¡j¡ S¡a£u jÉ¡¢mNeÉ¡¾V ¢VEj¡­ll Eáh quz Bœ²¡¿¹ ­pC ­L¡o…­m¡l LÉ¡ep¡l¢ho aMe lš² J m¢pL¡l j¡dÉ­j h¡¢qa q­u ­c­ql AeÉ¡eÉ Aw­nl ­L¡o J Lm¡a¿»­L Bœ²je L­l dÆwp L­lz

¢SeNa L¡le, ql­j¡e¡m CjhÉ¡m¡¾p, ­j¾V¡m ­ØVÊp, f¢l­hn c§oe, ­fn¡Na pjpÉ¡, r¢aLl p¡l, L£Ve¡nL J l¡p¡u¢eL-Hl fËi¡h, ­aS¢ûu l¢nÈl ¢h¢Lle, h¡dÑLÉ, ­c­ql ­l¡N fË¢a­l¡d n¢š² qÊÊ¡p f¡Ju¡ CaÉ¡¢c R¡s¡ ÙÛ¨maÆ J X¡u¡V¡¢l ¢lú gÉ¡ƒ¡l LÉ¡ep¡­ll SeÉ i£pei¡­h c¡u£z

Ty¥¢Lf§eÑ fËi¡hL

·        q¡CgÉ¡V, ¢h­no L­l pÉ¡Q¥­l­VX gÉ¡V J ­m¡g¡Ch¡l X¡­uVz

·        ­é’ é¡C, f­V­V¡ ¢Qfp, L¥¢Lp, f¡El¦¢V J ­LL-H b¡L¡ AÉ¡¢œ²m¡j¡CXz

·        ­lØV¥lÉ¡­¾Vl M¡h¡­l hÉhq©a AÉ¡¢Se¡­j¡­V¡ h¡ ­j¡­e¡­p¡¢Xu¡j NÔ¥V¡­jV LÉ¡ep¡­ll L¡lez

·        LÉ¡¢ge ­b­L h¡­s Ù¹­el g¡C­hË¢p¢ØVL LÉ¡ep¡­ll pñ¡he¡z

·        fÔ¡¢ØVL hÉ¡­N l¡M¡ M¡h¡l h¡ j¡C­œ²¡J­u­i fÔ¡¢ØVL f¡œ hÉhq¡­ll g­m M¡­cÉ ¢hf‹eL j¡œ¡u f¢m¢ie¡Cm ­LÓ¡l¡CX ¢j­n k¡Ju¡l L¡l­ez

LÉ¡ep¡l fË¢a­l¡dL f¢l­f¡kL:

­l¢Vem, X¡­uV¡¢l g¡Ch¡l, ¢hV¡-LÉ¡­l¢Ve, ¢iV¡¢je-¢p, ¢iV¡¢je-¢X, ¢iV¡¢je-C, ¢iV¡¢je-¢h6, ­g¡¢mL AÉ¡¢pX, ­p­m¢eu¡j, Bule, ¢SwLz

 

LÉ¡ep¡l fË¢a­l¡d£ M¡cÉ: löe, ­fyu¡S, ph¤S Q¡, Ljm¡­mh¤, VjÉ¡­V¡, Ly¡Q¡ mˆ¡, hy¡d¡L¢f, pu¡¢he, Bc¡, N¡Sl, ­mV¥p, gÉ¡V R¡s¡ c¤­dl VL cCz

fbÉ£u ¢e­cÑ¢nL¡

·        A¢a¢lš² ­am, jnm¡, mhe J e¡CVÊ¡CVpk¤š² fË­ppX g¥Xz

·        M¤h Nlj (42-45 ¢X¢NË ­p¢¾V­NËX) M¡cÉ h¡ f¡e£uz

·        gÉ¡VJu¡m¡ j¡R, ­lX¢jV, Ly¡Ls¡, ¢Qw¢sz

·        ­Xu¡¢l J ­hL¡¢ll pÉ¡Q¥­l­VX gÉ¡V J ¢Q¢ez

·        h¡¢p, fQ¡ M¡h¡l, ¢h­nk L­l f¤l¡­e¡ R¡a¡dl¡ h¡c¡j h¡ M¡cÉnpÉz

·        ¢nL-L¡h¡h, h¡l¢h¢LE, a¾c¥¢l, q¡C-­l¡­ØVX J ¢Xf é¡­uX M¡h¡lz

·        A¢a¢lš² gp­gV J ¢jEV¡­Sek¤š² M¡h¡lz

·        pÉ¡L¡¢leS¡a£u ee-¢eE¢VÊne¡m p¤¤CVe¡lz

·        g¡ØV g¥X, ­L¡ô XÊw„, BCp¢œ²jz]

·        AÉ¡m­L¡qm, d§jf¡e f¤­l¡f¤¢l hSÑe Ll­a q­hz

FOOD COMPOSITION TABLE

Poulami Mahata, Mouporna Tripathy, Sanchita Bar, Sampriti Maity

 

Food Stuff

Amount (g)

Portion Size

Energy (kcal)

Carbohydrate (g)

Protein (g)

Fat (g)

Iron (mg)

Calcium (mg)

Vit A (mcg)

Vit C (mcg)

Fibre (g)

PARBOILED RICE

30

1

103.56

23.7

1.92

0.12

0.3

2.7

0

0

0.06

WHEAT BREAD(WHITE)

30

1

73.53

15.57

2.34

0.21

0.33

3.3

0

0

0.06

WHEAT FLOUR(WHOLE)

30

1

102.39

20.82

3.63

0.51

1.47

14.4

8.7

0

0.57

SEMOLINA

30

1

104.31

22.17

3.3

0.27

0.81

6.9

0

0

0.09

VERMICELLI

30

1

105.48

23.49

2.61

0.12

0.6

6.6

0

0

0.06

PUFFED RICE

30

1

97.59

22.08

2.25

0.03

1.98

6.9

0

0

0.09

FLAKE RICE

30

1

97.59

23.19

1.98

0.36

6

6

0

0

0.21

LENTIL

30

1

102.81

17.7

7.53

0.21

2.27

20.7

81

0

0.21

GREEN GRAM(DHAL)

30

1

104.52

17.97

7.35

0.36

1.17

22.5

28.2

0

0.24

BENGAL GRAM(WHOLE)

30

1

107.91

18.27

5.13

1.59

1.38

60.6

56.7

0.9

1.17

SOYABEAN

30

1

129.57

6.27

12.96

5.85

3.12

72

127.8

0

1.11

BROAD BEANS

100

1

47.7

7.2

4.5

0.1

1.4

50

9

12

2

PUMPKIN

100

1

4.9

4.6

1.4

0.1

0.44

10

50

2

0.7

BOTTLE GOURD

100

1

11.7

2.5

0.2

0.1

0.46

20

0

0

0.6

RIDGE GOURD

100

1

16.5

3.4

0.5

0.1

0.39

18

33

5

0.5

BITTER GOURD

100

1

25

4.2

1.6

0.2

0.61

20

126

88

0.8

SNAKE GOURD

100

1

17.9

3.3

0.5

0.3

1.51

26

96

0

0.8

DRUMSTICK

100

1

25.7

3.7

2.5

0.1

0.18

30

110

120

4.8

DRUMSTICK FLOWER

100

1

50

7.1

3.6

0.8

0

51

0

0

1.3

PARWAR

100

1

19.5

2.2

2

0.3

1.7

30

153

29

3

CAULIFLOWER

100

1

27.6

4

2

0.4

1.23

33

30

56

1.2

BRINJAL

100

1

24.3

4

1.4

0.3

0.38

18

74

12

1.3

POTATO

100

1

57.7

22.6

1.6

0.1

0.48

10

24

17

0.4

ONION (BIG)

100

1

50.1

11.1

1.2

0.1

0.6

46.9

0

11

0.6

CARROT

100

1

47.8

10.6

0.9

0.2

1.03

80

1890

3

1.2

COLOCASIA LEAVES(GREEN)

100

1

56.3

6.8

3.9

1.5

10

227

10278

12

2.9

BANANA RHIZOME

100

1

50.6

11.8

0.4

0.2

1.1

25

16

1

1.1

AMARNATHTRISTIS

100

1

47.1

7.4

2.8

0.4

38.5

364

0

0

0

AMARNATH VIRIDIS

100

1

38.7

3.8

5.2

0.3

18.7

330

0

179

6.1

CABBAGE

100

1

26.5

4.6

1.8

0.1

0.8

39

120

124

1

SUSNI SAG

100

1

45.8

4.6

3.7

1.4

0

53

0

0

1.3

SPINACH

100

1

25.9

2.9

2

0.7

1.14

73

5580

28

0.6

COLOCASIA

100

1

97.3

21.1

3

0.1

0.42

40

24

0

1

IPOMOEA

100

1

26.6

3.1

2.9

0.4

3.9

110

1980

37

1.2

LETTUCE

100

1

21.1

2.5

2.1

0.3

2.4

50

990

10

0.5

CUCUMBER

100

1

12.5

2.5

0.4

0.1

0.6

10

0

7

0.4

APPLE

100

1

58.9

13.4

0.2

0.5

0.66

10

0

1

1

BANANA

100

1

116.3

27.2

1.2

0.3

0.36

17

78

7

0.4

GUAVA(COUNTRY)

100

1

51.1

11.2

0.9

0.3

0.27

10

0

212

5.2

PAPAYA(RIPE)

100

1

32.1

7.2

0.6

0.1

0.5

17

666

57

0.8

DATES(DRY)

100

1

316.8

75.8

2.5

0.4

7.3

120

26

3

3.9

POMEGRANATE

100

1

65.3

14.5

1.6

0.1

1.79

10

0

16

5.1

LEMON

100

1

56.5

11.1

1

0.9

0.26

70

0

39

1.7

ORANGE

100

1

48.2

10.9

1.7

0.2

0.32

26

1104

30

0.3

ORANGE JUICE

100

1

9.3

1.9

0.2

0.1

0.7

5

15

64

0

RAISINS

100

1

308.3

74.6

1.8

0.3

7.7

87

2.4

1

1.1

TOMATO(RIPE)

100

1

19.8

3.6

0.9

0.2

0.64

48

351

27

0.8

KATLA

50

1

55.6

1.45

9.75

1.2

0.45

265

0

0

0

ROHU

50

1

48.3

2.2

8.3

0.7

0.5

325

0

11

0

EGG(HEN)

50

1

86.45

0

6.65

6.65

1.05

30

210

0

0

FOWL

50

1

54.5

0

12.95

0.3

0

12.5

0

0

0

MILK(HUMAN)

100

1

331

74

1.1

3.4

0

28

41

3

0

MILK(COW)

100

1

67.3

4.4

3.2

4.1

0.2

120

53

2

0

CHANNA(COW MILK)

100

1

265.2

1.2

18.3

20.8

0

208

110

3

0

CURD(COW MILK)

100

1

60.4

3

3.1

4

0.2

149

31

1

0

SKIMMED MILK(LIQUID)

100

1

29.3

4.6

2.5

0.1

0.2

120

0

1

0

CHEESE

100

1

347.5

6.3

24.1

25.1

2.1

790

82

0

0

KHOA(COW MILK)

100

1

412.7

24.9

20

25.9

0

956

149

6

0

SUGAR

5

1

19.88

4.97

0

0

0

0.6

0

0

0

OIL/GHEE

5

1

45

0

0

5

0

0

0

0

0

BUTTER

5

1

36.45

0

0

4.05

0

0

0

0

0

PAPAYA(GREEN)

100

1

27.4

5.7

0.7

0.2

0.9

28

0

12

0.9

 

 

fË¡axl¡n HL¢V …l¦aÆf§eÑ M¡cÉ

অমিত কুমার জানা J সুপ্রকাশ প্রধান

 

l¡­œl O¤j ­b­L JW¡l fl pL¡­ml fËbj M¡cÉ q­m¡ fË¡axl¡n; ¢c­el L¡SLjÑ Ll¡l f§­hÑ M¤h pL¡­m fË¡u-C fË¡axl¡n ­eJu¡ quz ¢c­el …l¦aÆf§eÑ M¡cÉ ¢qp¡­h ¢h­hQe¡ Ll¡ qu Hhw i¡­m¡ L¡l­el SeÉ-Jz ¢LR¥ L¡l­e ­m¡­Ll¡ pL¡­ml fË¡axl¡n M¡u e¡, Hl L¡le…­m¡l j­dÉ hm¡ ­k­a f¡­l r¥d¡ Ae¤ih e¡ Ll¡ h¡ LÉ¡­m¡¢ll p£j¡hÜ l¡M¡z ­Lhmj¡œ 1-4% i¡lah¡p£ pL¡­m p¤¤oj fË¡axl¡n NËqe L­lz N­hoe¡u ­cM¡ ­N­R ­k, 12% L¡e¡X¡h¡p£ pL¡­ml fË¡axl¡n M¡uz

fË¡axl¡­nl Br¢lL AbÑ q­m¡ "Efh¡p i‰"z Ae¡q¡­l l¡¢œ­a 10-12 O¾V¡ ¢hnË¡j h¡ O¤j¡­e¡l fl nl£­ll n¢š²l Ai¡h pª¢ø qu ¢h­noa ¢nö­cl ­r­œ B­l¡ ­hn£ O­Vz ¢nö­cl ­cq J j¢Ù¹×L n¢š²l fË­u¡Se ­h¡d L­lz N­hoe¡u ­cM¡ ­N­R ­k, ­kph ­m¡­Ll¡ ¢eu¢ja p¤¤oj fË¡axl¡n ­M­u b¡­L a¡­cl ­c­ql p¢WL JSe hS¡u b¡­Lz

p¤¤oj fË¡axl¡n M¡Ju¡l

·        ¢c­el L¡S Ll¡l fËbj n¢š²l ­k¡N¡e ­cu fË¡axl¡nz pL¡­m O¤j ­b­L E­W HLV¥ eSl Ll­m ­cM­a f¡C ­k nl£l p¡l¡l¡a Efh¡­p ­b­L­R (fË¡u 10 O¾V¡l L¡R¡L¡¢R), ­p SeÉ nl£l f¤el¡u n¢š²l fË­u¡Se ­h¡d L­lz a¡C fË¡axl¡n NËq­el j¡dÉ­j °c¢eL ­j¡V fË­u¡S­el 25% n¢š² J f¢l­f¡oL ­S¡N¡e BhnÉL qJu¡ E¢Qaz

·        ­m¡­Ll¡ ¢c­el öl¦­a A¢a¢lš² M¡Ju¡l Ml­Ql SeÉ fË¡axl¡n M¡u e¡z pL¡­ml ¢LR¥ M¡Ju¡l fË­aÉ­Ll je J ­jS¡­Sl Eæ¢a OV¡­a pq¡ua¡ L­l HR¡s¡ j¡e¢pL Q¡f J Lj¡uz

·        fË¡axl¡n-C pq¡ua¡ L­l A¢dL n¢š² ­S¡N¡­e, Øj«¢a n¢š²l Eæ¢a­a HR¡s¡ j­e¡­k¡N J j¡e¢pL ¢hL¡­nz

·        fË¡axl¡n qm j§ma LÉ¡m¢pu¡j, Bule, ¢h-¢iV¡¢je pj§q, ­fË¡¢Ve J M¡cÉa¿¹¥ CaÉ¡¢c f¢l­f¡o­Ll p¡j¢NËL Ef¢ÙÛ¢a­az

·        fË¡axl¡n M¡cÉ pq¡ua¡ L­l h¢X j¡p CeXÉ¡„ Lj¡­a Hhw ­jc¡¢d­LÉl Ty¥¢L Lj¡­az

·        c£OÑ pju e¡ ­M­u b¡L­m ¢ejÀ lš² nLÑl¡l AhÙÛ¡u f¢lea qu, k¡l gmül©f HL dl­el j¡e¢pL Q¡­fl pª¢ø quz

N­hoe¡u ­cM¡ ­N­R ­k, fË¡axl¡n NËq­e ÙÛ¨ma¡, q¡Cf¡l­Ven¡e, q¡C­f¡­Ven¡e J q¡­VÑl ­l¡N CaÉ¡¢c ­l¡­Nl Ty¥¢L Lj¡­a pq¡ua¡ L­lz fË¡axl¡n NËq­e lš² nLÑl¡ ¢eu¢¿»a b¡­L g­m X¡u¡­h¢Vp-2 ­l¡­Nl S¢Vma¡ ­b­L j¤š² b¡L¡ k¡uz

¢h¢iæ S¡uN¡u fË¡axl¡n ¢h¢iæ dl­el Hhw fË¡axl¡­nl p­‰ j§ma b¡­L nLÑl¡ S¡a£u M¡cÉ ¢q­p­h c¡e¡npÉ, gm, n¡Lp¢ê CaÉ¡¢c J ­fË¡¢Ve S¡a£u M¡cÉ qm ¢Xj, j¡R, j¡wp Hhw f¡e£uk¤š² M¡Ju¡l qm Q¡, L¢g, c¤d J g­ml lp CaÉ¡¢cz

i¡l­a fË¡axl¡­nl ­pi¡­h ­L¡­e¡ j¡e ­eC, fË¡uC i¡l­al ¢h¢iæ l¡­SÉ ¢h¢iæ dl­el °h¢nøÉ l­u­Rz i¡l­al f§hÑ J f¢ÕQj¢c­Ll hÉ¢š²Na °h¢nøÉ J pwú«¢al Efl ¢i¢š L­l, i¡la£u fË¡axl¡­nl dl­el j§ma ¢ejÀl©f:

·        Ešl i¡l­al fË¡axl¡­n b¡­L f­l¡V¡ Abh¡ l¦¢Vl p­‰ p¢ê L¡l£, cC, J BQ¡lz ¢h¢iæ dl­el f­l¡V¡ M¡cÉa¡¢mL¡i¥š² b¡­L ­p…¢m qm Bm¤ f­l¡V¡, f¢el f­l¡V¡, ­l¢Xp f­l¡V¡ CaÉ¡¢cz

·        c¢re i¡l­al fË¡axl¡­n b¡­L CX¢m, ­d¡p¡-l p­‰ Q¡V¢e Hhw pðlz HR¡s¡ pðl l¡Cn, Efj¡, jnm¡ ­d¡p¡, f¤¢l CaÉ¡¢cz

·        f¢ÕQj i¡l­al …Sl¡­Vl O­l h¡e¡­e¡ fË¡axl¡n q­m¡ ­d¡Lm¡, M¡Ll¡p p­‰ ­jb£ b¡fm¡z

·        f§hÑ i¡l­al ¢h­no L­l f¢ÕQjh‰ J J¢soÉ¡­a fË¡axl¡n q­m¡ m¤¢Q-p¢ê, f­l¡V¡-p¢ê HR¡s¡ i¡a h¡ f¡¿¹¡ CaÉ¡¢cz

p¤¤oj fË¡axl¡n qJu¡ E¢Qa ¢h¢iæ M¡cÉ­nËe£ hÉhq¡­ll ¢jnËez fË¡axl¡­n c¤­dl p­‰ c¡e¡n­pÉl ¢jnËe ¢e­cÑn L­l ¢h¢iæ dl­el f¢l­f¡o­Ll Ef¢ÙÛ¢a, ­p…¢m qm LÉ¡m¢pu¡j, Bule, M¡cÉa¿¹¥, ¢h¢iæ ¢iV¡¢je J M¢eS mhez fË¡axl¡­n p¡d¡lea a¿¹¥k¤š² M¡cÉ 25 na¡wn Hhw gÉ¡V k¤š² M¡cÉ Lj Ae¤f¡­a b¡L¡ E¢Qaz

 

¢nö­cl fË¡axl¡­n ¢h¢iæ dl­el M¢eS mhe J ¢iV¡¢je °c¢eL ­j¡V fË­u¡S­el AdÑ¡wn b¡L¡ E¢Qaz c¤C hR­ll e£­Ql ¢nö ­cl ­q¡m ¢jó k¤š² M¡cÉ ­cJu¡ E¢Qaz c¤­d Ah¢ÙÛa LÉ¡m¢pu¡j Hhw gpgl¡p S¡a£u mhe ­c­ql A¢ÙÛ NW­e pq¡ua¡ L­l, HR¡s¡ c¤­d k­bø f¢lj¡e ¢iV¡¢je-H Hhw ¢h Ef¢ÙÛa k¡ ü¡i¡¢hL hª¢Ü J ¢hL¡n OV¡uz

 

c¤C hR­ll fl A¢dL¡wn ¢nö­L Lj gÉ¡V k¤š² c¤d  f¡e Ll¡­e¡ Hhw ¢h¢iæ  fËL¡l M¡cÉ M¡Ju¡­e¡ öl¦ Ll¡ E¢Qaz ¢újX ¢jó h¡ j¡Me ­a¡m¡ c¤d fy¡Q hR­ll ¢nö, fË¡çhuú Hhw ­jchým hÉ¡¢š²­cl f¡e£u ¢q­p­h hÉhq¡l Ll¡ ­k­a f¡­lz j¡Me ­a¡m¡ c¤­d fË¡u 35 na¡wn ­fË¡¢Ve b¡­L, ­pÀqfc¡bÑ J ¢iV¡¢je-H b¡­L e¡z

°c¢eL fË¡axl¡n qJu¡ E¢Qa:

·        p¤¤oj fË¡axl¡­n Q¡l fËL¡l M¡cÉ­nËe£l j­dÉ ¢ae fËL¡l M¡cÉ­nËe£ Ef¢ÙÛ¢a b¡L¡ h¡“e£u, ­p…¢m qm c¡e¡npÉ J a¡­cl à¡l¡ fËÙ¹¥a M¡cÉ, n¡Lp¢ê J gm, c¤d J c¤‡S¡a M¡cÉ Hhw j¡R, j¡wp J ­f¡m¢VÊz

·        ­fË¡¢Ve J M¡cÉa¿¹¥ pjªÜ M¡­cÉl Evp …­m¡ f¢lf§eÑi¡­h c£OÑpju d­l ala¡S¡ f§eÑ L­l l¡­Mz (g­ml l­pl f¢lh­aÑ g­ml V¥L­l¡ fR¾c Ll¡ E¢Qa)z

·        LÉ¡m¢pu¡j k¤š² M¡cÉ fË¡axl¡­n b¡L¡ E¢Qa, ­p…¢m qm Ljm¡­mh¤l lp A­dÑL L¡f Abh¡ 125 ¢j¢m, CuN¡­VÑl p­‰ gm J c¡e¡npÉ b¡L­hz

 

Good Food is Good Mood

Payel Maiti

 

"GRAPES are good for you"which enhance mood and boost energy.

 

Eat an APPLE with PEANUT BUTTER for your sugar and energy levels remains stable for longer time period.

 

Daily eat YOGURT may can help boost your vitamin D.

 

Eat Folate rich food like SPINACH which are essential in producing serotonin.

 

Consider sipping a cup of GREEN TEA that decrease anxiety & stress.

 

Eat ALMONDS daily in morning they also increase dopamine level & glowing for skin & improve brain health

 

Sweet like HONEY without the negative effects of sugar.It helps to reduce inflammation in the brain.

 

Tomatoes are red, red for gives you a strong heart

 

বিজ্ঞান- অবিজ্ঞান

 

প্রকৃত সত্য

অভিজিৎ দত্ত

দুর্নিবার লোভ আর

কামনা-বাসনা

শেষ করছে মানুষকে

তবু সব জেনেও মানুষ

কেন পারে না

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে?

 

যদি নিজের মন শরীরের উপর

না করতে পারো নিয়ন্ত্রণ

কী করে বিজয়ী হবে?

পথ দেখিয়ে গেছে মহাজন।

 

প্রকৃত শিক্ষা যদি

না পারো গ্রহণ করতে

কোনদিনই পারবে না

পৃথিবীকে ভালো করতে।

 

নদীর জলরাশি বয়ে যায়

সময়ের স্রোতও সেইদিকে ধায়।

আমরাও হারিয়ে যাবো কোন একদিন

এই প্রিয় পৃথিবী থেকে

ভালো কাজটাই থেকে যাবে শুধু

 সুন্দর এই পৃথিবীতে।

 

কালো? তা সে যতই কালো হোক

দেবোলিনা সাউ

কালো মানুষ দেখলে কেন, মুখটি করো কালো? 

পৃথিবীতে কালো ছাড়া আর কি আছে ভালো?

কালো কালি না হলে ভাই, যায় না কিছু লেখা-

 কালো পেনসিল থাকলে ঘরে ভালই যায় আঁকা।

ভাতের হাঁড়ির তলা কালো, ভাত তো সবাই খায়,

কালো মেঘে জল দিলে ধরনী জুড়ায়।

 

কালো কোকিল ডাকে যখন বসন্তগমনে,

মন যে কারো রয় না ঘরে, মন চলে যায় বনে।

 কালো কাকের উপকার ভোলা নাহি যায়,

যেথায় যত নোংরা পচা সাফ করে সব খায়।

 

আঁচের জন্য লাগেরে ভাই, কালো মানিক কয়লা,

কালো পিচ না দিলে ভাই, না যায় রাস্তা চলা।

ছাতার কাপড় কালো বলেই রোদ শোষন করে,

ছাতা নেই যার মাথার উপররোদে পুড়ে মরে।

 কালো কৃষ্ণের জন্য রাধা হয়েছিল পাগল, কালীর পূজো করার জন্য লাগে কালো ছাগল।

কালো মানুষ দেখলে তোমার অভক্তি কি হয়?

বাইরে যাদের কালো, জেনো, ভিতর কালো নয়।

 

জন্ম

শঙ্কর ভূঞ্যা

সন্তান জন্মের পর

মায়ের মুখে যেমন হাসি ফুটে ওঠে

তেমনি ভাবে

একটার পর একটা কবিতা লিখে

মনে হয়

অর্ধেক পৃথিবীতে রাজত্ব করি কবিতা নিয়ে;

বারবার চুম্বন করি অভিধানের  শব্দসম্ভারকে

যা আমাকে অমরত্ব দেবে ব্রহ্মাণ্ডে।

 

আর যখন জন্ম হয়না কবিতার

নিঃসন্তান মায়ের মতো মনে হয়

গলায় দড়ি দিই

নয়তো, ট্রেনের পাতে মাথা রাখি

 

সুপ্রভাত

প্রভঞ্জন সাউ

নূতন গল্প শুরুর দিনে,

নবীন পত্র গোনার ক্ষণে,

এমনি বুক কেঁদে ওঠে,

কোন সুরেরই তানে!!

কোন ছায়া যে ধীরে কাঁপে!

কোন মায়া যে আঁচল টানে!

কোন বিষাদে হিয়া উতল,

আজি আলোর দিনে?

আজি হতে,

নূতন তরী বাইবে সখা, হৃদ গাঙ্গেতে,

 নূতন বাহু বাঁধবে কত, নূতন ডোরে,

নবীন কলি গাইবে, তব নবীন ভোরে।।

শীর্ণ আমার স্রোতের কথা,

দীর্ণ যত গানের ভাষা,

জীর্ণ মোদের গল্পঃ গাথা,

 ভুলবে ধীরে।

 

নামবে আঁধার স্মৃতিপটে,

যেমন করে রোজই ঘটে,

নূতন ঢেউয়ে মুছবে এসে,

গত পায়ের রেখা,

তোমার বালুতটে ।।

 

জীবন

সুতীর্থ প্রধান

 

জীবনে টাকা সব কথা নয়,

সময় সর্বদা এক যায় না।

প্রকৃত মানুষ হতে গেলে গাছ হতে হয়,

ছায়ার মতো শান্ত হতে হয়

বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হয়

আকাশ হতে চাওয়া বড্ড সোজা!!

আনন্দে, হাসিতে বাঁচুন।

 

জীবনের ছায়াপথে

সুকোমল দাস

 

এই ছবির মতোই জীবনের পথে এমন এক একটা মোড় আসে, যখন সমাগত অন্ধকার আর নিভন্ত আলো জীবন পথের সে মোড়ে মুখোমুখি হয়। সে আলো, সে অন্ধকারের ভয় দূর করতে পারে না, শুধু ক্ষীন আশা জাগিয়ে রাখে মাত্র আগামীর। তাছাড়া সে আলোয় আপন বলে কেউ থাকে না, আর যে অন্ধকার থাকে, সে যেন ক্রমশ প্রকাশ্য হয়ে ঢাকতে থাকে জীবন অস্তিত্বকে। আগাত অন্ধকার আর বিদায়ী আলোর ছায়াপথে কিংকর্তব্যবিমূঢ় চেতনার অস্তিত্ব নিতান্তই অসহায় হয়ে থমকে যায়। চিন্তা চেতনার আশাবাদী দিকটা বলে আলোর পথে এগিয়ে চলতে, হয়তো দেখা হতে পারে দাদা মধুসূদনের সাথে, হয়তো তারই মতো কেউ ধরবে হাত, চোখের জল মুছে দেবে, বলবে সাথে আছি ভয় নেই। অন্যদিকে চেতনার আর একটা সত্তা বলে, কোথায় যাবে এই ভগ্ন মনোরথ নিয়ে?তোমার তো চলার ক্ষমতা নেই। তোমার বিশ্রামের প্রয়োজন। তোমার নিজেকে সময় দেওয়ার প্রয়োজন আছে খুব। তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে, তোমার নিজের সাথে কথা বলা খুব দরকার। তুমি অন্ধকারের নিঃশব্দ শান্ত কোলে চলো একটু জিরিয়ে নেবে। ওখানে কোলাহল নেই, ওখানে কেউ তোমাকে কোন ভাবে বিরক্ত করতে আসবে না। আর একটা দাদা মধুসূদন ওখানেই থাকে।  আর তা ছাড়া এতক্ষন দাঁড়িয়ে থেকেও তো পড়ন্ত আলোয় কারোরই দেখা পেলে না। এ আলো আর বেশিক্ষণ তোমার সঙ্গ দিতে পারবে না। তোমার বন্ধু প্রিয়জন আত্মীয় স্বজন সবাই চলে চলে গেছে ভরা আলোয় যে যার ঘরে। বুঝতে পেরেছি তুমি কোন না কোন কারণে পারোনি তাদের সাথে পা মিলিয়ে চলতে, তুমি অনেক পিছনে পড়ে গেছো। তুমি কি করবে এই পড়ন্ত নিভু নিভু আলোয় গিয়ে? সিও তো আর কিছুক্ষণ পরে তোমায় অন্ধকারে ঢেকে দেবে। তার চেয়ে অনেক ভালো সে অন্ধকার কে আপন করে নাও, যে অন্ধকার তোমায় আপন করে নিতে তোমার কাছে এসে গেছে। ওকে জড়িয়ে ধরো। ওর শান্ত কালো কোলে নির্দ্বিধায় নিঃসংকোচে মাথা রেখে কেঁদে হালকা হও। মনে কর সেই অন্ধকার অন্ধকার নয়, ওটা একটা আয়না, যেখানে মুখ রেখে তুমি দেখতে পাবে, তুমি আদতে কি কেমন আছো, এ পর্যন্ত নিজেকে তুমি সত্যিকারে কতটা ভালবেসেছ, তার উত্তর তুমি পেয়ে যাবে ওখানেই। আলোয় গেলে তুমি উত্তর পাবে না। তুমি আলো গেলে ধাঁধিয়ে যাবে। আলোর মায়াবী মোহময়তায় নিজেকে চিনতে জানতে বুঝতে আর ভালবাসতে ভুলে যাবে, শুধু অন্যের চোখে নিজেকে দেখা বোঝা আর জানার ক্ষমাহীন ক্লান্ত ব্যর্থ চেষ্টায়। আমি আর কেউ নয় তোমার বিবেক বলছি, তুমি কি করবে সেটা তোমার সিদ্ধান্ত। আগেও বলেছি তোমাকে তুমি শোনোনি আমার কথা, শুধুই তুমি শুনেছো তোমার আবেগ আর ক্ষণস্থায়ী কিছু চাওয়া পাওয়ার কথা। আজ তোমার জীবনের এই মোড়ে যখন তুমি ভগ্ন মনোরথ নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছো অসহায় হয়ে, তখন তোমাকে এই কথাগুলো বললাম। এবার ভেবে দেখো কি করবে তুমি, আমি চললাম প্ৰিয়।

 

 

জীবন জীবিকা

 

কলি

অভিজিৎ দত্ত

আমি কলি

মানুষকে বিভ্রান্ত করে

নিজের কাজ করে চলি।

 

আজ সর্বত্রই আমার রাজত্ব

ন্যায়,সততা   সত্যের অস্তিত্ব

আমি করতে চায় বিলুপ্ত।

 

ধর্ম জাতপাতের নামে

মানুষকে দিচ্ছি ধোঁকা

মূর্খ মানুষ আমার চালে পা দিয়ে

কেবলই হচ্ছে বোকা।

 

চারিদিকে অবিশ্বাস প্রতারণার

কালো জালে বেশীরভাগকেই

করেছি বন্দি

আর যারা বাকী আছে

তাদের জন্যই বানাচ্ছি নানা ফন্দি।

 

আমার একটাই লক্ষ্য

সুৎ নিষ্ঠাবান মানুষকে করবো লুপ্ত

চারিদিকে থাকবে শুধু

আমারই অন্ধকারের রাজত্ব

 

কিসের নেশায়

শিবাশিস দাস

ছুটছে শহর, ছুটছে নগর

ছুটছি সবাই মোরা

ছোটা শেষে ক্লান্তি এসে

দেবে মোদের ধরা ।।

ছুটছে চালক, ছুটছে বাহক

ছুটছে কচি কাঁচা

ছুটছি আমি, ছুটছো তুমি

ছুটতে ছুটতে বাঁচা ।।

কাজে যে যায়, নিয়ে যে যায়

সবাই ছুটে চলে

ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত পথে

ব্যস্ত হওয়ার ফলে ।।

জন্ম থেকেই ছুটছি সবাই

বড় হওয়ার লড়াই

যৌবনেতে যাচ্ছি মেতে

বড় হওয়ার বড়াই ।।

বৃদ্ধ হয়ে, শরীর বয়ে

অহংকারটা ছাড়ি

ক্লান্ত চক্ষে, পৃথিবী বক্ষে

ছোটার পথে পাড়ি ।।

 

হজমোলা

কোয়েল বারিক

বিশ টাকা দরে আলু, আজ হলো সত্তর ;

গরীবের পাপী পেটপুড়ে গিয়ে প্রস্তর!

 

চালের দাম ঠেকেছে... ভীষণ এক সমানে ;

বেঁচে থাকার কোনো প্রকার বল পাচ্ছি না যে মনে!

 

তেলের কথা, তা থাক এখনআর না বা বলি ;

বাঙালি মোরা, ভীষণ রকম তেল মেরে মেরে চলি!

 

ডিমের দাম- প্রতি পিসেসাত-আট... ছুঁই ছুঁই ;

পঁচিশ টাকায় মিলছে এখন এক আঁটি সাদা পুঁই!

 

বাজার দরের দারুণ রকম আকাশ চুম্বী রেট ;

মাটি খেয়ে বুঝি এখনভরবে মোদের পেট!

 

মাটির মানুষ তুমি আমিমাটি, হজম করতে শেখো ;

মাটিতে মিশে যেতে হবেসেটা মনে রেখো!

 

নিষিদ্ধ উল্লাস

কোয়েল বারিক

কেক, ডিম আর ময়দা মেখে বার্থডে সেলিব্রেট;

করছে কতক উশৃঙ্খলযুবক, হিপোক্রেট!

 

করছে খাবর অপচয়ে  নিষিদ্ধ উল্লাস;

মরছে ক্ষুধায়, ডাস্টবিনেতে অনাহারীর লাশ!

 

বড় লোকের বিগড়ে যাওয়া অসভ্য রিচ কিড;

সেলফি ক্যামে করছে গরম ইনস্টা নিউজফিড!

 

কেকের ফেনা গালে মেখে তুলছে সে পোট্রেট;

বড় লোকের বিগড়ে যাওয়া বেটা, হিপোক্রেট!

 

অনাহারীর হয় না পীড়ালোহা হজমে;

পচা বাসি খাবার হলেই ব্যাপার টা ঠিক জমে!

 

কবে তাদের জাগবে বিবেক, হবে বোধোদয়;

অনাহারীর মুখের খাবারঅপচয় আর নয়!

 

বর্ষা,

সুন্দরী তুমি

মৌমিতা চক্রবর্তী

 

কি আছে তোমার রূপের ডালি তে?

কি ভাবে সাজাও তুমি নিজেকে

মোহময়ী রূপে!

এই রূপে পাগল হয়েছে কত কবি!

প্রকৃতির স্নিগ্ধ সৌন্দর্যকে প্রকাশ করেছ তুমি

তোমার অপরূপ রূপ লাবণ্যে।

তোমার স্বচ্ছ জলধারায় সিক্ত হয়েছে সবুজ বনানী,

পাখীরা গেয়ে ওঠে কলতান নতুন ছন্দে।

ফুলেদের রঙিন প্রকাশ ও মিষ্টি সুবাস তোমার আগমনে।

রানী তুমি, ঋতুদের রঙ্গমঞ্চে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছ তুমি।

বিহ্বল আমি তোমার মোহময়ী রূপ লাবণ্যে।

অস্থির এ মন খুঁজে বেড়ায় বিশ্ব প্রকৃতিতে শুধু তোমায়।

মিটবে কি আশ? নাকি তুমি কবির দীর্ঘশ্বাস?

আর থেকো না আড়ালে নিয়ে তোমার রূপের পসরা।

গগনে কালো বরণ মেঘ সজ্জিত করেছে নিজেকে -

অপেক্ষারত তোমার আগমনের তরে।

এসো তুমি নব সাজে সজ্জিত হয়ে -

ধরা দাও সুজলা সুফলা বসুন্ধরায়।

আর রেখোনা অপেক্ষায় -

সমগ্র মানব জাতি চায় তোমার স্নিগ্ধ পরশ।

বুলিয়ে দাও তোমার ছোঁয়া,

শান্ত হোক প্রকৃতি,

পরিতৃপ্ত হোক ধরা।

 

Silent Cry

Iti Maity

Mother,

Please forgive me as I never feel your pain from the root.

So many things from hair to foot,

So many hands but none to offer you a glass of smile.

So many words but none to gift you a drop of happiness a while,

So many foods but none to give you a bowl of peace,

We were there to accomplish....

But are we?

External world can't heal your pain dear.

I know not how can you bear.

How can you hide your silent cry?

May be in the cushion amidst the dark sky.

Your pain may glitter on the chest of Baba.

He almost tries to make you understand his torn pocket, yeah.

Or he offers you eternal peace between sore hands ;

And let you know of a son's responsibility.

Your hidden pains and scars get stuck in the wall of your mouth ;

And stored in the silent droplets.

 

বন্ধু

শ্রেয়া দত্ত

 

খুব আদরের একটা বন্ধু আছে আমার। একেবারে গাছের মতো। আমার পাশেই থাকে, মাটিতে শিকড় গেঁথে।

আমি কোথাও গেলে সাথে যায় না। তবে অপেক্ষা করে।

 

আমায় ছায়াতে রাখে আড়াল করে। গনগনে আঁচের মতো দুপুরে নিজে পিঠে করে ছায়া নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আমার আগে। আড়াল করে রাখাই যার লক্ষ্য, তাকে আলাদা করে সম্পর্ক তৈরি করতে হয় না। সম্পর্ক ভীষণ আবেগি, ওকে বুদ্ধি দিয়ে বিচার করলে চলে না।

তাই, আমার বন্ধুকে আমি বিচার করি না।

 

ও বলে, আমি নাকি মাটির মতো। আচ্ছা তোমরাই বলো, মানুষ মাটি থেকে তৈরি হতে পারে, তবে মাটির মতো কীভাবে হয়?

অবশ্য ও এই প্রশ্নের খুব সহজ উত্তর দেয়।

ও বলে," মাটি না থাকলে, গাছ তাকে আঁকড়ে ধরে কীভাবে?"

 

আমি একেবারে যে কম বুঝি তা নয়, তবে মাটির মতো এত সহজ সরল স্বভাব আনতে পারি নে। ও কিন্তু আমায় মাটি বলে। বলে," তোমার থেকে অনেকেই জীবনে চলার রসদ খুঁজে নিতে পারে।"

আমি ওর কথা শুনে হাসি।

ও নিতান্তই আমায় ভালোবাসে, তাই এমন কথা বলে।

 

আমি ওকে কখনোই ভালোবাসার সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করি নে। ও বলতেও চায় না সহজে।

মুক্তি যাদের স্বভাবে থাকে, প্রশ্ন দিয়ে তাদের বাঁধা চলে না। ওকেও আমি বাঁধতে চাই না।

 

ওর স্বভাবে যে কী নূতন ভাব আছে তা ধরতে পারি নে। তবে নূতন যে কিছু একটা আছে, তা বুঝতে পারি। নূতন ছাড়া জীবন চলে না। আবার পুরাতন কেও সরিয়ে দিতে মন চায় না। তাই সব মিলিয়েই আঁকড়ে থাকতে চায় ও।

 

স্বভাব যার আগলে রাখা, তাকে আর আলাদা করে কীসের সম্পর্ক শেখাই বলো দেখি!!

 

শক্ত নাকি শক্তিশালী মানুষ

অমিত কুমার জানা

 

মানসিকভাবে প্রচণ্ড শক্ত মানুষ গুলিরও বেঁচে থাকার জন্য প্রেম লাগে।

এরা একলা থাকতে পছন্দ করে না, এদের কেউ অবহেলা করলে এরা মেনে নিতে পারে না। নিজের জীবনের পুরোটা ভার নিজের হাতে নিতে নিতে প্রচণ্ড শক্ত মানুষ গুলিও একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

এরা ভেবে নেয় আমার ক্লান্তি তো আমাকেই দূর করতে হবে।

ওই যে প্রচণ্ড শক্ত তো!

গা ঝাড়া দিয়ে উঠে সুন্দর করে সাজে,

মন মতো কোন একটা কিছু রেঁধে খায়।

নিজেকে ভালোবাসে।

নিজের আশেপাশে সাজিয়ে গুজিয়ে পরিপাটি করে রাখে।

তার মতোই কিছু মানুষের গল্প শোনে, সাহস দেয় তাদের।

নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়।

নিজের ভালোবাসার মানুষ নিজেই হয়।

নিজের পুজা করতে করতে এদের এক একটা জীবন কেটে যায়।

আমরা যাদের নাম দেই সেলফ অবসেসড, নারসিসিষ্ট!

কিন্তু জানেন এই প্রচণ্ড শক্তিশালী মানুষ গুলিরও দিনের শেষে আর পালাবার জায়গা থাকে না। এদেরও ভাবতে মন চায় ক্যামনটা হতো যদি সত্যিকারের প্রেম এসে কাঁধ ঝেঁকে দিয়ে বলতো,

এই

আছি তো!

সব সময়ের জন্য আছি!

শেষ সময় পর্যন্ত আছি!

আছি!

দিনের বেলার এই শক্তিশালী প্রতিমাগুলি রাত হলেই চুর চুর করে ভেঙ্গে যায়। যখন চার দেয়াল চাপতে চাপতে একদম নিশ্বাস সমান দূরত্বে এসে দাঁড়ায় আর নিতে পারে না।

 

এক জীবন শক্তিশালী থাকার অভিনয় করতে করতে একসময় জীবনটাই শেষ করে ফেলতে মন চায়। মনের ওজনে শরীরটা বিছানা থেকে টেনে তোলার শক্তি থাকে না।

হাতে জোর থাকে না জ্বর কত হল ছুঁয়ে দ্যাখার। স্পষ্ট চিন্তা করার সকল শক্তি হারিয়ে বালিশ ভেজে প্রতিরাতে!

চিৎকার করে চেপে আসা দেয়ালকে বলতে চায় আমি চাই নি শক্তিশালী হতে, এই অভিশাপ থেকে আমাকে মুক্তি দাও। 

 

আমাকেও কেউ যত্ন করুক, আগলে রাখুক।

 

নতুন ভোরে নতুন জামাটা পরে।

আরেকটু যত্ন নিয়ে সাজে।

নিজেকেই বোঝায় ভেতরে বাস করা মানুষটাকে মুছতে হলে রাবারে কাজ হবে না, কাগজটাই ছিড়ে ফেলতে হবে!

কাজ করতে হবে!

ছুটতে হবে!

 

থেকে যাওয়া হলো না

সুপ্রকাশ প্রধান

 

থেকে যাওয়া কি যায় না!

এত করে বলছি কেন বুঝছো না?

 

কোথাও না কোথাও তো তুমি থেকেই যাবে,

রয়ে যাবে কারোর মায়ায়।

থেকে যাও না আমার কাছেই।

তুমি থেকে না গেলে আটকে রাখা যে বড় দায়।

তোমার তো জানা সবটা,

ভুল করে ফেলি শুধু, ভুলে ভরা জীবনটা।

খুঁজো না কারণ

কী পেয়েছো, কী বা আছে আর তোমাকে দেওয়ার।

কাছে এসে বসো; এই বুকে মাথা রাখো,

অনুভবে বুঝে নাও কতটা আগলে রাখতে জানি।

চোখে চোখ রাখো আরও গভীরে পড়ে নাও ভাষা।

থেকে যাও না,

থেকে গেলে শুধরে নেব,

করবো আরো বেশী বেশী ভুল।

থেকে যাওয়া আর হলো না!!

 

ভ্রমণ

বিরথ চন্দ্র মন্ডল

 

যখনই তাকাই-

অনর্গল ছড়িয়ে দিচ্ছো নরম

মরমিয়া রোদ্র নিঃশ্বাস... ।

চলিষ্ণু প্রত্যাশার ছায়ায় মায়ায়-

ত্রিবিধ বাসনা জাগছে।

হেঁটে যাচ্ছি।

স্পর্শ করছি বুক...

হিরন্ময়ী নাভির সুর ভাসছে আকাশে বাতাসে

আহা; কী এমন পিরিত সাম্পান রাধার..!

ছলাত ছলাত এ' জল বুকে এসে বাজে

 

মা, মেয়ে ও মা

 

টালির চালে বৃষ্টি পড়লে সে জল খাঁজ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে উঠোনে। তবে তার একটা বিশেষ ধারা আছে। সব টালিটা জুড়ে জল নামে না। দুই ধার দিয়ে জল পড়ে। আর যে জায়গায় পড়ে, নরম মাটিতে পড়ে সেখানে হতে থাকে ছোট ছোট গর্ত, নধর মানুষের নাভির মত।

 

ভাদ্র মাসের এক দুপুরে আকাশ কালো করে মেঘ থেকে অঝোরে ধারা ঝরছে। আমাদের দাওয়ায় বসে, ও পাড়ার শেফালী কাকিমা আর মা - মুড়ির চাল কিভাবে শুকোবে এই বর্ষায়! সেই চিন্তায় মগ্ন। তবে চিন্তাটা মায়ের থেকে শেফালী কাকিমার বেশি। কলকাতা থেকে চিঠি এসেছে কাল বিকেলে । মদন কাকা তিনমাস আগে কলকাতা কাজ খুঁজতে গিয়ে একটা নতুন রিক্সা কিনেছে। আর কদিন আগে একটা নতুন কাকিমা ও এনেছে। লিখেছে, মাসে মাসে কলকাতা থেকে ঘর এলে খরচ পোষায় না তো! অগত্যা।

 

এক এক দিন, বিকেল বেলা রিংকু দী খেলতে আসে আমাদের উঠোনে। সন্ধ্যে হয়ে গেলে ও একটু দেরি করে শেফালী কাকিমা ওকে নিতে আসে। আমাদের সাথে হাত পা ধুয়ে চারটি মুড়ি খায় । ঠাকুমা ব্যাজার হয়। মা ভয় ভয় মুখ করে নিচু গলায় বলে , "পর কে আপন করলে , নিজেরটা আপন হয়।আহা বেচারী । "

 

পুজোর আগে আগে শেফালী কাকিমা বামুন পাড়ায় তিন ঘরে কাজ নেয়। শুধু রান্নাটুকু বাদে  গেরস্থ ঘরের সব কাজ। গত কয়েকমাস কাকার মানি অর্ডার আসে নি। গাঁয়ের পোস্টমাস্টার বলে , "টাকার তো আর ডানা নেই, যে উড়ে উড়ে আসবে। যত্তসব।" আগের শনিবার , দিদির পড়ার ঘরের মেঝেতে বসে কাকিমা চোখ মুছে মুছে কি সব বলছিল আর দিদি একটা চিঠি লিখে আমাকে দিল, পোস্টবক্সে ফেলে আসতে। স্কুল ফেরার পথে রাস্তায় দেখা হলে , কাকিমা আমাকে জিজ্ঞেস করে , "ঠিক জায়গায় ফেলেছিলি রে চিঠিটা।"

আমি অবাক হয়ে ভাবতাম, ঠিক ই তো ফেলেছি।

 এখন বুঝতে পারি, ঠিকানা ঠিক থাকলেও সব চিঠি ঠিক ঠিক পৌঁছায় না।

 

বেশ কবছর পর , বড় ইস্কুলের হোস্টেল  থেকে

ছুটিতে বাড়ি গিয়ে দিদির কাছে শুনলাম, গেল রবিবার মদন কাকা গাঁয়ে এসেছিল। অনেক কিছু এনেছিল । সাথে কলকাতার কাকী । তবে রাতে থাকে নি। শেফালী কাকিমার জন্যে একটা নূতন শাড়ি আর রিংকুদির জন্যে দুটো জামা । নূতন জামা পরে রিংকুদী তারপর দিন তার মায়ের সাথে গোবিন্দরায় ঠাকুরের থানে গেছিল। কি যেন মানত ছিল!  নূতন শাড়ীটা শেফালী কাকিমা হাতে করে নিয়ে গিয়ে, মন্দিরের সামনে যে খোঁড়া বুড়িটা বসে, তাকে দিয়ে এসেছে।

 

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়, দিদি আর রিংকুদী পাস করেছে। দিদি   কলেজে গেল । বাবা ছুটিতে বাড়ি গিয়ে হাট বারের দিন স্বর্নময়ী বস্ত্রালয় থেকে বেশ কখানা শাড়ি কিনে দিয়ে গেল। দিদি কলেজে পরে যাবে। তার থেকে  একখানা মা রিংকুদী কে দিলে ডেকে। আগের সপ্তাহে রিংকুদী কে দেখতে আসবে যে পাত্রপক্ষের লোক।

পাড়ার সাধন বাবু, পল্টুদা আর আমার কাকা আরো কজন মিলে একদিন গিয়ে রিংকুদীর হবু বরের ঘর দেখে এলো।

পাল জেঠিমা, বিকেল বেলা পান খেতে এসে মায়ের কাছে গল্প করে গেল। "ও নমি (আমার মায়ের নাম নমিতা), রিংকু ছুঁড়িটার কপাল ফিরল বলে!  জমিদার বাড়ির মত দালান বাড়ী। নিজের ক্ষেতের ধান, পুকুরের মাছ। খাওয়া পরার অভাব নেই।

জামাই নাকি, আজ কলকাতা তো কাল দিল্লি। কি বড় অফিসের চাকরি! একটু বয়স টা যা বেশি! তাতে কি! মেয়ের গায়ের রং টা তো দেখতে হবে! একেই শ্যামলা মেয়ে, তায়ে বাপ এমনধারা। দ্বিজবর হলেই বা, পুরুষ মানুষ তো !"

সব শুনে , শেফালী কাকিমা আঁচলের খুঁটে মুখ চাপা দিয়ে কাঁদে দাওয়ার খুঁটি ধরে।।

 

ফাল্গুনের এক গোধূলি লগ্নে রিংকুদিদির বিয়ে হয়, গাঁয়ের মেলার মন্দিরে । নতুন জামাই সবাই কে মিষ্টি খাওয়ায়, মধু ময়রার দোকান থেকে।

গাঁয়ের মাস্টার পণ্ডিত সজ্জন ব্যক্তিরা কন্যা দায়ের কিছু কিছু ভাগ নেন।

অস্টমঙ্গলাতে, মা বাবাকে বলে, একবেলা খেতে ডেকে নতুন মেয়ে জামাই এর মান রক্ষা করে।

ফেরত যাবার দিনে, আমার সাথে রাস্তায় দেখা হতে, রিংকুদী কত করে আমাকে ডাকল তার নতুন বাড়ি। "ভাই , একটিবার যাস।"

না। যাওয়া হয় নি আর।

আমি তখন কলেজের ক্লাস আর ফুটবলের মাঠ নিয়ে মত্ত।

 

কিছু বছর পর, ঠাকুরমার অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়ি ফিরছি, শেষ ট্রেনে। বেশ খানিকটা রাত তখন পাড়াগাঁয়ের মত। গোটা পাড়া নিস্তব্ধ। আমাদের ঘরেই আলো জ্বলছে। সোজা পুকুরঘাট থেকে হাত মুখ ধুয়ে ঘরে ঢুকলাম। খাবার ঘরের মেঝেতে রিংকুদী বসে । কোলের কাছটা আলো করে একটা ফুটফুটে বাচ্চা মেয়ে। আর বাকি সবার মুখগুলো, কেমন যেন কালো ।

আমায় খেতে দেবার ছলে, সে আসরে বাধা পড়লো।।

রাতে ছাতের ঘরে শুতে যাবার আগে, জানলাম , রিংকুদিদির বর মেয়ের মুখ দেখতেও আসে নি, খবর পেয়ে ও। কোন সংবাদ দেয় না।  মেয়ের বয়স তখন ছয়মাস প্রায়।

ননদদের খোঁটা আর একপ্রকার বাচ্চা মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে আজই  ভর সন্ধ্যেবেলা এসে উঠেছে, সেই মায়ের বাড়ি।

পরদিন বেলায়, শেফালী কাকিমা পাড়ার লোকেদের

বলে -কয়ে পাঠালো খোঁজ নিতে । বেলা পড়ার মুখে, ও পাড়ার নিতাই দা এসে বলে গেল। জামাই নাকি , বোম্বাই গেছে । আর ফিরবে না । ওখানে নতুন সংসার পেতেছে। যদিও সবই শোনা  কথা।

রিংকুদির শাশুড়ি বলেছে, "যে মেয়ে তার বাপ কে রাখতে পারে না , তাকে আমরা রাখি কেন ! যাদের এত দরদ তারাই রাখুক না বাপু।"

 

মাস খানেক পর, রিংকুদী পাশের গ্রামে নার্সারি ইস্কুলে দিদিমণি হলো। তার মেয়ে এখন তার মায়ের কাছে থাকে , দিদি ইস্কুলে গেলে ।

 

বিকেল বেলা, পাল জেঠিমা,ঘাটের কাছে মা কে বলে গেল," রিংকুর মেয়েটার গাঁয়ের রং টা দেখেছিস নমি !  একদম বাপের রং পেয়েছে যেন । আহা।"

মা মুখ নিচু করে বললেন, "গাঁয়ের রং ফর্সা হলেই তো আর কপাল ফর্সা হয় না, গো দিদি ।"

তার পরের বর্ষায়, রিংকুদীদের ঝুঁকে পড়া টালির চালটা সারাইয়ের অভাবে আরো খানিকটা হেলে পড়লো।

মা, মেয়ে আর এক মা, দাওয়ায় বসে, ভাঙ্গা চাল থেকে টালির জল পড়া দেখছিল বসে। বিধাতাও দেখলেন কি!

কি জানি!!

*********** প্রভঞ্জন।

 

তোমাকে ভালোবাসি

সুদীপ্ত পাল

 

যথেষ্ট হয়েছে, নিজেকে ধরে বেঁধে বসালাম ভাবনার গোল টেবিলে;

কাঁচা ঘুম ভেঙে, দাউদাউ করে পুড়িয়ে দেওয়া শরীরকে।

আমি সৎ, সুন্দর, রঙিন, চমৎকার একটি ফুল। এমন ফুলের কদর সবাই করতে জানে না; একজন ছু্ঁড়ে ফেলে তুচ্ছ ভেবে অপরজন এমন আছে ছু্ড়ে দেওয়া ফুলই প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে যত্ন করে লুকিয়ে রাখে আলোয়।

কষ্ট যেটুকু পাওয়ার একেবারেই শেষ করে, চোখ মুছে নিয়ে, মায়ার শক্ত শিকল ভেঙে; ভাবনার গোল টেবিল থেকে উঠে,

হাসলাম, মুক্তির হাসি।

নিজের ডানায় ভর করে উড়লাম, নিজেকে জড়িয়ে ধরলাম, নিজেকে ভালোবাসলাম।

ভালো রাখার জন্যে,

ভালো থাকার জন্যে মানুষের প্রয়োজন হয়।

একবার নিজেকে নিজেই

পেয়ে গেলেই আর কখনোও মানুষের প্রয়োজন হবে না।

নিজেকে ভালোবাসার মতো আনন্দ পৃথিবীতে আর একটিও নেই।

নিজেকে উচ্চ চিন্তা ভাবনায় পুরস্কিত করে পূর্ণ করলে আর সর্বদা সামনে রাখলে; সাহস, সম্মান, সফলতা আসবেই।

 

মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়

              সুকোমল দাস

 

মেয়েটা কসমেটিক মেকআপে সময় দেয় না, বই পড়া, গান শোনা আর সিনেমা দেখায় সময় দেয় বেশি বেশি করে,

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

মেয়েটা অন্যের ইমোশন সেন্টিমেন্ট, ফিলিং নিয়ে খেলে না। সে খেলে ব্যাডমিন্টন, টেনিস, দাবা।

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

তার বালিশের নীচে ওই যে কি বলে হার্ট থ্রোবিং হলিউড কিংবা বলিউড নায়কের ছবি থাকে না। বালিশের পাশে থাকে ভালো ভালো উপন্যাস আর গল্পের বই।

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

তাকে "চিরদিন তুমি যে আমার" "রাগিনী এম এম এস টু"  এর মতো সিনেনা  টিনেমা আদৌ টানে না,

পরিবর্তে তার খুব ভালো লাগে গ্র্যাভিটি, এন্টারস্টেলার আর

 ইন টু দা ওয়াইল্ড এর মতো সিনেমা।

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

মেয়েটা খুব একটা মন্দির টন্দিরে যায় না, ওই উপবাস বার ব্রত তো করেই না।

কিন্তু কোনোদিন কোনো ভিখারী বা অসহায় লোককে খালি হাতে ফেরায় না।

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

মেয়েটি উৎসব, পুজো কিংবা চৈত্র সেলের ঠাসা ভিড়ে জামা কাপড়ের দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করে না।

কিন্তু ছুটির দিনে স্তব্ধ দুপুরে বই দোকানে গিয়ে বই কেনাকাটা করার এক অতি পরিচিত নাম মেয়েটি।

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

মেয়েটার রাত জাগা, শপিং, ডেটিং করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট "লাভার" নেই!

কিন্তু আড্ডা, গল্প, ফিস্ট, ট্রাভেলিং ইত্যাদি করার জন্য অনেক বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড আছে।

কিন্তু মেয়েটা মাঝেমাঝে সিগারেট খায়!

মেয়েটি মোবাইল কম্পিউটারে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হয়াটসাপের থেকে বেশি ইন্যারেস্ট খুঁজে পায়,

তার খুব ভালো সিনেমা দেখা, ভালো ভালো বই পড়া আর ছবি আঁকা গান আড্ডা চর্চায়।

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

মেয়েটা কলেজের হ্যান্ডসাম ছেলে কিংবা গর্জিয়াস মেয়ে বন্ধুদের থেকে বেশি বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং খুব কম্ফোর্টেবল  ফিল করে,

ওই গ্রাম গঞ্জ থেকে আসা তথাকথিত আনস্মার্ট গেঁয়ো ছেলে মেয়েদের সাথে,

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

মেয়েটা উনিশ কুড়ি, রূপসী ম্যাগাজিন কেনে তো দুরের কথা, কেনার কথা ভাবতেই পারে না।

পরিবর্তে সে কেনে ফ্রন্ট লাইন, আউট লুক আর ইন্ডিয়া টু ডের এর মতো শিক্ষামূলক ম্যাগাজিন।

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

মেয়েটা বাংলা ছাড়াও খুব সুন্দর সাবলীল হিন্দি ইংরেজি বলতে জানে, কিন্তু ওই অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করীদের মতো ভুলে ভরা ইংরেজি ঝেড়ে সস্তা স্মার্টনেস কিনতে যায় না। সুন্দর সাবলীল বাংলায় কথা বলে। আবার যেখানে দরকার হয় সেখানে স্পষ্ট হিন্দি ইংরেজি বলে।

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়।

মেয়েটি সস্তা রুচি আর কুরুচিকর সিরিয়াল দেখার থেকে এনিম্যাল প্লানেট, ডিসকভারি, হিস্ট্রি চ্যানেলের প্রোগ্রামগুলো খুব সিরিয়াসলি আর সিরিয়ালি দেখে।

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

সে স্বপ্ন দেখে না দামি গাড়ি বাড়ি, স্বামী সন্তান সুখী জীবনের। তার স্বপ্ন সে একদিন পিছিয়ে পড়া আদিবাসী শ্রেণীর জন্য একটা আধুনিক শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে তার স্বপ্নের ভাবনায়।

কিন্তু মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়!

স্থানীয় অনেক মানুষের কাছে মেয়েটার পরিচয় "মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়"

হ্যাঁ মেয়েটা মাঝে মাঝে সিগারেট খায়। স্থানীয় এলাকায় অনেকেই সিগারেট খায়, বিশেষ করে অগণিত পুরুষ সিগারেট খায়, সেগুলো কারোরই বিশেষ নজরে আসে না। অথচ চারপাশে আর বাকি মেয়েদের থেকে এই মেয়রটার আর পাঁচটা ভালো গুন ওদের নজরে আসে না। আসে শুধু এই মেয়েটির সিগারেট খাওয়াটা। মেয়েটার আর কোনো ভালো দিক বা কোনো গুন কারো নজরে আসে না। সে চামড়ার চোখে হোক কিংবা মানসিক চোখে হোক। শহরে যে মেয়েটি প্রথম স্কুটি চালিয়ে ছিলো, সেদিনও এইভাবে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল এই এদেরই পূর্ব পুরুষ, যারা এই অসম্ভব গুনের আধার থাকা মেয়েটির সিগারেট খাওয়া ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায় না, বুঝতে পারে না, সর্বোপরি নিতে পারে না।

বি :দ্র : আমি কোনোভাবে সিগারেট খাওয়ার বিষয়টাকে  এডভোকেট করার উদ্দেশ্য নিয়ে এটা লিখিনি বা পোস্ট করিনি। শুধু এটুকুই বোঝাতে চেয়েছি চারপাশের বহু মানুষ অন্য মানুষের হাজারটা ভালো গুন সহজে দেখতে পায় না, কিন্তু শুধু তার মধ্যে তারা সেটুকুই দেখতে পায় যেটাকে তারা মনে করে তার দোষ ত্রুটি।

 

 

সাহিত্য সংস্কৃতি

 

শীতকালীন

শুভদীপ মাইতি

 

খোলা জানলা দিয়ে ঢুকে আসছে হিমশীতল মৃত লাশের মতো হাওয়া।

কেটে কেটে ছুঁয়ে যাচ্ছে। গভীর ক্ষরণ

 

ভেঙে ভেঙে যে শরীর মাটি হচ্ছে, পাড় ভাঙছে নদীর;

রাতপাখির নখে জমা হচ্ছে শ্মশানের পবিত্র দহন।

 

প্রিয় যন্ত্রণাকে অনুভব, শান্তিজলের মতো। পুনরায় ছুঁয়ে যাচ্ছে শুদ্ধতা মিথ

 

শীত পড়লে, ক্রমশ জমে যাচ্ছে বিষাদনগরের আঁধার নারিকেল তেলের টিন।

অথচ, আমি আজও সেই একটি কারণেই আন্তরিক ডুবে থাকি শৈত্যপ্রবাহে।

 

খবরদার

প্রভঞ্জন সাউ

 

খবরদার।

খবরদার বলছি,  বিনয়ের অবতার সাজবেন না যেন।

 

থাবড়ে দিন। চোখ গেলে দিন ।

ছেলে পাঠিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দিন। পারলে জানালা দিয়ে একটা পেটো গলিয়ে দিন ।

মুখের ওপর শাসিয়ে দিয়ে যান, জানিয়ে দিয়ে যান।

সময় থাকলে,

 দাঁড়িয়ে থেকে করান।

 

যেমন করতো ইংরেজরা। যেমন করেছে স্যান্ডার্স , যেমন করেছে ডায়ার,

চোখে চোখ রেখে ফায়ার।

যেমন করে, নীল রক্তের অহঙ্কার

বুটের তলায় আয়েস করে পিশেছে

 

সিগারেটের আগুনের লাল, বেয়াদবের ক্ষত ঘা।

 

হ্যা।

সাহস ছিল। সাহস ছিল অত্যাচার করার। সব আইনকে মধ্যমা দেখিয়ে মাড়িয়ে চলে যাওয়ার নির্ভেজাল দম্ভ ছিল।

তাও ভালো ছিল তা।

কারণ,তাতে  আস্তিনের সাপ ছিল না।

 নৃশংস -বীভৎস কদর্য মুখে, বিনয়ের মুখোশ ছিল না।

 

খবরদার।

খবরদার বলছি।

আমরা বীভৎসতায় ভয় পাই না, নৃশংসতায় কাঁপি না।

তৈমুর থেকে মারাঠা বর্গীর হাঁকে পিছু হঠি না।

 

লুটেরা থেকে দোর্দন্ড- যা কিছু ছিল তারা , তবু বিনয়ের আড়ালে মুচকির হাসি হাসে না ।

 

আপনিও হাসবেন না, আর।

ধরা পড়ে যাবেন এবার।

একবার বিনয়ের খাজনা পাঁচ বছর ধরে উশুল করবেন না।

 

কাকু, ভালই করেছেন বলে।

 এসবের প্রতিবাদ করতে হয়।

আমি আপনার পাশে আছি,

বলে, কালো কাচের গাড়িতে চেপে , দাঁতে দাঁত চিপে খুনে  ভাড়া করবেন না।

সাহস থাকলে সামনে বলে যান।

খবরদার। বিনয়ের অবতার সাজবেন না।

 

কারণ, একদিন।।

সব বিপ্লব পথ চিনে নিতে জানে।।

সব বিপ্লব মুখোশ টানতে জানে।।

 

মিথ্যাচারের রূপ বদলাবে কত শত,

আর বিপ্লব শুধু রক্ত নিশান চেনে।।

তাই

খবরদার।।

       

 

শীতের কবিতা

 

শীত তুমি এসেছ ফিরে

          আমার সবুজ দেশে,

কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

           বৃদ্ধ বুড়ির বেশে।

ভোরের ওই পুব আকাশে

          সোনালী আলোর ছটা,

নরম ঘাসের ডগার উপর

            স্বচ্ছ শিশির ফোটা।

মাছ দুপুরে রৌদ্র স্নানে

            একটু মিষ্টি ছোঁয়া,

গাছের ডালে মৃদু হাওয়া

          হালকা ছুঁয়ে যাওয়া।

দিন ফুরোলে গোধুলি শেষে

              সব কিছু যায় চুপ,

লাল বরনের সূর্যটা দেয়

            পশ্চিমেতে ডুব।

 

আমার হাঁটা

সুশান্ত সাহু

 

পৃথিবী যখন স্মৃতি আগলে নিদ্রা মগ্ন

আমি তখন তারা খসা দেখবো বলে

কতোও রাত জেগেছি গুনেছি আকাশে তারা।

 

অথচ তারাদের আপন করে ভাবিনি

ফুল জোছনা জোনাকি এদের সাথে

কাটিয়েছি শতাব্দী পর শতাব্দী

কখনও কাছে টানিনি এদের।

 

রোদ মেখে চাঁদ ঘুমিয়েছে আমার ঘরে

আমার হাঁটবার শেষ নেই........

 

এপার -ওপার

দেবাশীষ গুপ্ত

 

ভালোবাসতে লাগে না কোন ধর্ম- বর্ণ,

কিংবা কোন জাত,

ভালোবাসা তো শুধু মাত্র হৃদয়ের টান,

যা বয়ে যায় প্রবাহমান নদীর মতো অনন্তকাল

হোক না সেটা এপার-ওপার,

কিংবা কোন কাঁটাতারের বেড়াজাল,

তবুও যেনো ভালোবাসার নেই কোন খামতি।

ভালোবাসা তো সেই মুক্ত বিহঙ্গের মতো,

ডানা মেলে পাড়ি দেয় নীল গগনে।

তাই তো প্রিয়জনদের ভালোবাসার টানে,

আজ এপার -ওপার হলো  একাকার।

ফিরে তো আসতে চায় না মন প্রিয়জনদের কাছ থেকে, তবুও ফিরে আসতে হয় নিজ গলিতেই।

 

জীবনের নাট্যশালায়

উজ্জ্বল পায়রা

 

জীবন এক অদ্ভুত নাট্যশালা---

 

সেখানে ঘটে যাবে একেরপর এক নাটক

এক একজন নাট্যকার এক এক রকম নাটক লিখে যাবেন

সব নাটকেই স্বপ্ন আছে, প্রেম আছে, হাসি আছে, দুঃখ আছে আর আছে কান্না...

তফাৎ শুধু ঘটনা আর চরিত্রের---

 

তারপর ফসকরে একদিন বন্ধ হবে সে নাটক

আবার নতুন নাটকের মহড়া

তুমি চেয়ে চেয়ে দেখবে, কখনো হাসবে, কখনো আবেগে ভাসবে, কখনো চোখের জলে ভিজবে...

 

কখনো তুমি রাজা, কখনো তুমি প্রজা, কখনো বিদূষক, কখনো ভিখারি, কখনো চাকর,

আবার কখনো তুমি হেরে যাওয়া বিধ্বস্ত সৈনিক...

 

দর্শক চেঁটেপুটে নিয়ে যাবে সব---

 

ব্যাঁকা ব্যাকরণ

.না.দা

 

"কিরে কোঁৎকা ভাঁড় - বদ বুদ্ধিতে বুদবুদ করে বুঁদ হয়ে রয়েছিস কেবল- বুদো কোথাকার। পড়াশোনায় আট কলা হয়ে কেবল কাঁচা কলাতেই এঁটে  আছিস এঁটোলি পোকার মতো। জীবনে প্রকৃত জীবের মতো জীব আর হবি না। বনজঃ হুঁশহীন মন নিয়ে বন মানুষ হয়েই থাকবি? প্রচন্ড রাগে চন্ডরূপ ধারন করে পণ্ডিত মশাই চন্ডালের মতো চীৎকার করে উঠেন। আজ্ঞে স্যার আমাকে কোঁৎকা বলে কাৎ করার চেষ্টা করবেন না। আমার পূর্ব পুরুষ ছিলেন যে সে ভাঁড় নয় বরং গোপাল ভাঁড় - রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়া উপাধি রসরাজ ভাঁড়। আর তারই নাতির ঘরে বাতি জ্বালানো পুতি হলাম আমি মাকাল ভাঁড় আমাদের সাধারণ সাধা বুদ্ধি আর আপনারা যার সাহায্যে লেখা পড়া করেন- সেটা হল- মহাশূন্য বুদ্ধি-শুন্যের মধ্যেই যে বুদ্ধি ঘোরাফেরা করে অনবরত--- মাকালকে মাঝপথে, পথে বসিয়ে পন্ডিত মশাই চেঁচিয়ে ওঠেন- "ওরে মালের কালো ভাঁড়- তুই তোর ভাঁড়ার থেকে শূন্য জ্ঞানের ভান্ডার খোলসা কর" যেমন ধরুণ কারক মানে ব্যাকরণের কারক- শেখাতে আপনি দাঁড় কাকের মতো ক্রিয়াজাত বিক্রিয়ার 'টা সম্পর্ক নিয়ে নয়ছয় করেছেন, আর সমাসের ক্ষেত্রে কেবল পদস্খলন ঘটিয়ে কখনো মেলাচ্ছেন কখনো বা ছাঁটাই করছেন। এই দু'টোকে মিলিয়ে এক করার কথা ভেবেছেন কখনো ? ভাঁড়ের মুখ নিসৃত ভাঁড়ামিতে ভড়কে যান পণ্ডিত। কিন্তু মাকাল না থেমে মহাকালের মতো বলে, 'যেমন ধরুন পিতা মাতা, একে নিমিত্ত সমাস করলে ব্যাসবাক্যসহ উদাহরণ হবে-পিতার জন্য মাত্রা বা মাতার জন্য পিতা আপনাদের সেখানে পিতা মাতাকে নিয়ে দ্বন্দ্ব করা অর্থহীন। আবার ধরুন বীনাপানি এটা তো জলের মতো সহজ- পানিতে রয়েছে বীনা, সে হাতেই থাক বা জলেই থাক এখানে একটা অধিকারের প্রশ্ন রয়েছে দু' ক্ষেত্রেই সুতরাং এটা হবে অধিকরণ সমাস এক জিনিসকে ভেঙ্গে দু'টুকরো করার প্রয়োজন আছে? পণ্ডিত মশাই বুঝতে পারেন এই পোড় খাওয়া পড়ুয়াকে পড়ানো শুধুই পণ্ডশ্রম। কিন্তু মাকাল থামে না 'স্যার কচু কে পোড়া- হবে কচু পোড়া। এটাকে ধারণ করে মান্য করতে পারি কর্ম সমাস বলে।'  পণ্ডিত মশাই মুখ পান্ডুর করে বলেন, 'ওরে তুই সত্যিই গোপালের যোগ্য নাতির বাহাদুর পুত্র রাজা কৃষ্ণচন্দ্রেরর মতো- আমার বিদ্যায় গ্রহণ লাগিয়েছিস। তুই তো দেখছি কলির আধুনিক অবতার।' ' আপনি ভাবেন নি পণ্ডিত মশাই - কিন্তু আমি ভেবেছি প্রাচীন কাল থেকেই ব্যাকরণের করণীয় কর্মই হল ব্যাঁকাভাবে চরানো- ঠিক কুকুরের লেজের মতো - যা কোনদিনই সোজা করা যাবে না। কেন- তৎপুরুষ সমাসের মধ্যে তো তৎপরতার সঙ্গে কারকগুলো ঢুকে হাড় মাসকে একাকার করে দিয়েছে-সহজে সোজাভাবে।' গুরু তৎপুরুষের ব্যাখ্যা শুনে লঘু হয়ে তোৎলাতে থাকেন- ওরে মাকাল- - আমাকে আর না- নাকাল করে দিসনি। এবার থা-থাম।'  'গুরুজী গুরগুর করলে তো হবে না- এই যে- আপনার ত্রিলোক টি কে আপনি- কি যেন কি যেন- হ্যাঁ দ্বিগু করে বলেছেন- ত্রি(তিন) লোকের সমাহার তাকে তো 'করণ' সমাস বলা যেতে পারে যেমন-তিনটি লোকের দ্বারা সৃষ্টি।  এই ভাবে----' থাম থাম  ওরে মাকাল অনেক মাল খাইয়ে পয়মাল করে দিয়েছিস আর হজম হবে না- বদহজম হয়ে জমের বাড়ি চলে যেতে হবে।' মাকাল কে থামাতে মাকুর মতো নিজের মাথা দু'হাতে চেপে ধরেন -পন্ডিত মশাই

 

ভালোবাসা থাকে যদি

ইতি মাইতি

 

ভালোবাসা থাকে যদি মেহেন্দি লাগানো দুহাত যখন...

কানের পাশে চুলটা সরিয়ে দিয়ো,

ভালোবাসা থাকে যদি যখন আলতো ঘেমে রান্নাঘরে...

কপালের ঘাম ঠোঁটে মেখে নিও

 

ভালোবাসা থাকে যদি আমার বেসুর গানের লাইন যখন বিরক্তিকর,

থালা বাটি গুলো তবলা করে গলা মিলিয়ে দিয়ো,

ভালোবাসা থাকে যদি রোজ্দিন ভালোবেসো

যত্ন করে আগলে রেখো দুহাতের মধ্যভাগে

 

ভালোবাসা থাকে যদি   একশবার ঝগড়া করো কিন্তু মানিয়ে নিয়ো রাত ফুরিয়ে যাওয়ার আগে,

ভালোবাসা থাকে যদি জড়িয়ে ধরো ভীষণ জ্বরে

বেস্বাদ যখন স্বপ্নগুলো...

আদর দিয়ে কস্টগুলো শুষে ফিনিক্স হয়ে জন্ম নিয়ো আবার আমায় ভালোবেসে

 

ভালোবাসো যদি   মানিয়ে নিতে শেখো দারুণ মন খারাপের দিনে...

ছোট ছোট খুশি বাঁচিয়ে রেখো, হাত পুড়িয়ে রান্না কোরো আমার প্রিয় পদ,

ভালোবাসো যদি আমাকে আমার মা বাবাকেও তোমার সাথে ভাগ করলাম...

আজন্ম তাদের সেবা আমায় করতে দিয়ো

তোমার হাসি মেখে,

ভালোবাসো যদি অপেক্ষা করো ঠিক তোমার কাছেই যাব...

শুধুমাত্র ভালোবাসো আরও অনেক ভালোবেসে 

ভালোবাসা মেখে নিয়ো সারাগায়,

একশকোটি মিথ্যে বলো কিন্তু ভালোবাসা যেন মিথ্যে না হয় ....একমুঠো কুয়াশা

 

আমি

সুপ্রকাশ প্রধান

 

দিন শেষে;

কেউ আমাকে ভালো বাসে, ভালো মানে,

আবার কেউ আমাকে মন্দ চোখে জানে।

প্রিয়জন,

ভাবনায় পারফেক্ট বলে কিছু কি আছে!!

চাঁদেও কলঙ্ক খুঁজি আমরা অমাবস্যার মধ্যরাতে!

সূর্যের কলঙ্ক খুজতে গিয়ে কেউ বলে সূর্য ডুবে যায় কেন!

চোখে,

যার চোখে আমি খারাপ তার চোখে আমি ভালো হবার চেষ্টায় সময় নষ্ট করে ঘোড়া থেকে গাধা হতে চাইবো কি!

যার চোখে আমি ঘোড়া তার চোখে আমি ঘোড়া হয়েই থাকতে চাই।

সই,

যে আমাকে মন্দ চোখে দেখে গেলো তার পিছনে আমি মন্দতেই সই।

কেউ আমার পেছন থেকে সমালোচনা করা মানে আমি তার থেকে অনন্ত পারফেক্ট।

নষ্ট চোখ,

আমাকে এগিয়ে যাওয়ার সহজ পথ দেখিয়ে দেয়।

আমি,

আমি মন্দ আবার এই আমিই ভালো।

 

ঘুনপোকা

গৌতম পাত্র

 

ঝলমলে শহর কোলকাতায় বাসা বেঁধেছে

কিছু অচেনা দানব পোকা

দিনে রাতেই কুরে কুরে খাচ্ছে গোটা শহর।

 

উত্তর থেকে দক্ষিণ পূর্ব থেকে পশ্চিম

সব এলাকাতেই দলবদ্ধ ঘুনপোকার দল।

 

ওদের সবাই চেনে ধোপদুরস্ত পোশাকের মোড়ক

চোখাচোখা চালচলনে মোহিত শহরবাসী।

 

অথচ ওরা ভেতরে ভেতরে বিভেদের প্রাচীর গড়ে

শহরের হাড় মাস ছিবড়ে করে খাচ্ছে প্রতি দিন

অন্ধের মতো বিশ্বাস বিলিয়ে দিচ্ছে মানুষ।

 

কিন্তু কেউই জানে না ওরা ফুসফুসের কোটর

কিডনি যকৃতের ভেতরে কাটছে অবিরাম।

 

শহর কোলকাতায় হৃদপিন্ডের ভেতর এখন অজানা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে অনন্ত রাস্তায়

 

অ্যান্টিবায়োটিক

মোহন কুমার জানা

 

বিকেলের হাঁটুর ভেতর

বিপন্ন ক্ষয়।

 

ঘাসের গোড়ালি জুড়ে

মৃত শিশিরের দাগ।

 

শুষনি শাকের পাতায়

ক্ষুধার ইতিবৃত্ত।

 

কচুরিপানার নখ মূলে

মাছেদের সংসার।

 

চারিদিকে মুমূর্ষু সূর্য

কোথায় পাবো অ্যান্টিবায়োটিক?

 

 

 

 

Literature and Culture

মৌমিতা চক্রবর্তী

 

Literature and culture are intricately intertwined facets of human society that play a profound role in shaping our understanding of the world and our place in it. Literature serves as a reflection and expression of the culture from which it emerges while also influencing that culture in return. This dynamic relationship is a testament to the power of storytelling. Literature often serves as a mirror; through which we gain insight into the historical, social and cultural contexts. For instance, the works of William Shakespeare provide us with a window into Elizabethan England while the writings of F. Scott Fitzgerald offer a glimpse into the roaring Twenties in America.

Literature is a means through which cultural identities are preserved and represented. It allows marginalized voices to be heard and provides a platform for discriminated groups to share their stories and perspectives. It encapsulates the myths and narratives that define a community's heritage. For example, the Greek epic poems - the Iliad and the Odyssey, showcases ancient Greek culture, values and societal norms. These works convey the ideals and beliefs held by the people of that time. Literature can help foster a sense of belonging and pride within a culture by celebrating its uniqueness.

Literature has the power to challenge and transform cultural norms. Authors often use their works to critique injustices and advocate for social change. Classic novels like Harper Lee’s To Kill a Mockingbird challenged the prevailing racial prejudices of the North Americans during the 20th century while George Orwell’s 1984 addressed issues of censorship and totalitarianism. Literature also acts as a bridge between cultures, allowing for the exchange of ideas and perspectives across borders. Translations of literary works enable people from different cultural backgrounds to access and appreciate the richness of other societies. This cross-cultural exchange can lead to greater understanding, empathy, and appreciation of diversity.

 

Literature evolves over time to reflect changing cultural values. New forms of literature emerge, such as graphic novels (for example Cartoonist Art Spiegelman's Maus - A Survivor's Tale, helped establish the concept of graphic novels in the minds of the mainstream), digital storytelling (for instance Snowfall - The Avalanche at Tunnel Creek put digital storytelling on the map) and social media narratives (such as Dove's Derma Series which was made specifically for people who struggle with skin conditions like eczema and psoriasis), contribute to the evolving cultural landscape. These adaptations demonstrate the dynamic nature of the relationship between literature and culture.

 

Great works of literature are often set against the backdrop of historical events. These narratives provide insight into the lived experiences of people during specific time periods. For instance, Charles Dickens' novels such as Oliver Twist and A Tale of Two Cities offer vivid portrayals of the social injustices and class disparities of 19th century England. Literature serves as a repository of cultural heritage too; preserving myths and folklore for future generations. It ensures that the cultural legacy of a society is not lost and can be passed down through the ages. Literature inspires creativity and innovation in various cultural domains. Literary works often serve as a source of inspiration for other forms of artistic expression, thus, further enriching the cultural tapestry.

 

As cultures evolve, so do the forms and styles of literature. Different historical periods give rise to distinct literary movements such as Romanticism, Realism and Modernism; each reflecting the prevailing cultural ethos and artistic sensibilities of its time. At present literature has become more global than ever. Contemporary authors often draw inspiration from multiple cultures, resulting in hybrid literary forms that reflect the diverse cultural influences of our times. This fusion of cultures can be seen in the works of writers like Salman Rushdie and Chimamanda Ngozi Adichie.

 

In conclusion, literature and culture are inseparable companions on the journey of human expression and understanding. Literature and culture are deeply interconnected and mutually influential. Literature captures the essence of a culture, helps shape cultural identities and encourages us to embrace the rich tapestry of cultures that make up our global community. It serves as a timeless record of the past and a catalyst for change in the present, shaping and reflecting our ever-changing cultural landscape in profound ways.

 

এই শ্রাবণে

অরুণাংশু ব্রহ্ম

 

এই শ্রাবণে বৃষ্টি ধারায় ভিজবে বলেই

হাত বাড়ালে দুরন্ত সেই মেঘের দলে,

ইশারাতে মেঘেরবেলা কেবল ডাকে 

শব্দ সাজাই একলা যাপন অন্তরালে ।

 

কেমন করে বৃষ্টি নামে ভিতর বাহির

মেঘের খবর ভেসে আসে কিসের টানে,  

তন্বী মেঘ পসরা সাজায় কোন ইশারায়

সেচন করে মাটির যত প্রাণের আহ্বানে।  

 

নিরুদ্দেশের স্বপন জ্বেলে শুধুই খুঁজি   

সুখের সাজি ভরিয়ে দেবে বৃষ্টি প্রহর,

এই শ্রাবণে মনের তারে বেসুর বাজে

চোখে লাগে ঘনঘটার নেশার ঘোর।

 

কখন তুমি ডাক পাঠালে মেঘের দেশে

ভিজিয়ে দিলে দুঃখ গুলো ধোয়ার ছলে,

চাওয়া পাওয়া সবই ভাসে কিসের টানে  

ভিতর বাহির খুঁজতে থাকি কৌতূহলে।

 

মনের কোণে শ্রাবণ ধারা তবুও নামে 

জীবন টানে উজান ঠেলে একলা মরি,

নদীর বুকে আলপনা দেয় বৃষ্টি কুচি

জলদ ঢেউয়ে মুখটি ঢাকে বিবশ শর্বরী। 

 

 

চাই

 

প্রকৃতি, তুমি যাচ্ছো কোথায়?

যাচ্ছি চলে।

আর কি দেখা হবে!

বলতে পারবো না!

 

তাহলে কী আমাদের বিচ্ছেদ হলো ভাবতে পারি?

বিচ্ছেদ ভাবলে বিচ্ছেদ।

আর যদি বিচ্ছেদ না ভাবি?

 

ভালোবাসা টা আরো গভীর হবো!

 

যদি ভুলে যাই?

ভালোবাসা; তুমি তাহলে প্রকৃতিকে ভালোবাসোনি!

 

যদি মরে যাই?

মোহো; তাহলে তুমি পুরোটা সময় শুধুই নিজেকে ভালোবেসেছ!

 

কেনো এই চলে যাওয়া?

মায়া; না পাওয়া ভালোবাসায় ভালোবাসা যে সবচেয়ে বেশি!

 

তুমি কি তাহলে আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে চাও?

সন্দেহ আছে?

তবে দূরত্ব কেনো?

 

আমার দিকে যতই কাদা ছুড়ে মারো,

আমি তাতে সযত্নে রোপন করেছি গাছ।

একদিন সেই গাছ এতোই বড়ো হবে,

তুমি এসে তার ছায়ায় দাঁড়াবে।

 

দূরত্ব ভালোবাসাকে অনুভব করায়।

তাই, আমি তোমাকে চাই।

 

জীবনের বিচিত্র পথে ছুটে চলেছে জীবিকার গাড়ি

শুভ্রা সেন

 

মনুষ্য জীবন বড়ই বিচিত্র।  জন্মের মাধ্যমেই জীবন যুদ্ধের শুরু। জীবন থাকলেই হবে না তাকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে হবে,  তবেই জীবনের সার্থকতা। জীবনের মৌলিক চাহিদার সাথে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার সম্পর্ক অনস্বীকার্য।  সাধারণভাবে জীবনের প্রথম কুড়ি - বাইশ বছর আমরা পড়াশোনার মাধ্যমে কাটিয়ে দিয়ে থাকি। ততদিন বেশিরভাগ ছাত্র বা ছাত্রীরা সমাজের কঠিনতার সাথে সেভাবে পরিচিত হয় না।  লেখাপড়া শেষ হওয়ার পর শুরু হয় জীবন ও সমাজের  বাস্তবতার সংঘাত। ধীরে ধীরে তারা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়।  জীবনতরীকে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হয় সমাজের কঠিনতার  মোকাবিলা করে নিজের জীবনকে  সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য।  ভুলতে বসে বিকেলের সোনাঝরা ঝলমল করা রোদের আলোতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারার দিনগুলোকে। স্থান, কাল, পাত্র ভেদে জীবনের সংজ্ঞা ভিন্ন  হতে থাকে। কারো কারো কাছে জীবন শুধু নিরন্তর উপভোগের বিষয়, কারো কারো কাছে জীবন মানে নিঃস্বার্থভাবে অকাতরে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া, আবার কারো কাছে জীবন মানে ভোগ ছেড়ে নিজেকে গড়ে তোলা। সাধারণভাবে জীবনধারণের অর্থই হল জীবিকা। জীবিকার আর এক প্রতিশব্দ হল পেশা।  পেশা হচ্ছে কোনো ব্যক্তির নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর পরবর্তী জীবিকা নির্বাহের জন্য চাকুরী বা অন্য কোনো বিত্তিপেশাকে গ্রহণ করা।  এই পেশার সাহায্যে তাঁরা আর্থিক উপার্জনের মাধ্যমে জীবন নির্বাহ করে।  প্রতিটি মানুষ জীবিকা সংগ্রামের যুদ্ধে প্রতিনিয়ত সামিল থাকে। প্রতিদিন কেউ সস্তায়  নিজেকে আবার কেউ চড়া দামে নিজেকে বিক্রি করছে।  জীবন ও জীবিকা দুটোই চলমান।  জীবন চলে বয়সের তাগিদে আর জীবিকা চলে জীবনের তাগিদে। গতানুগতিক জীবনে হাজারো জীবিকার ভিড়ে মানুষ তার নিজস্ব জীবিকার সন্ধান খুঁজে পায়।  জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ কি না করে।  কারো জীবন সুখে-শান্তি ও আনন্দে ভরে থাকে আবার কারো জীবন বড়োই বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে।

 

 

 

 

শিল্পী বন্ধু

মৌমিতা চক্রবর্তী

 

বাঁশিটার সুর থেমে গেছে।          

ওই যে দূর নীলিমা আর সবুজ বনানী -                                      

তার মাঝে নিজেকে খুঁজে পাওয়া।                                      

আর মেঘলা দিনে তোমায় অন্বেষণ।                                       

ঐ যে তুমিই তো একদিন বলেছিলে বৃষ্টিতে ভেজার কথা,                                          

পাও কি অন্তরে অচিন মনের গহন কোণে,                               

সেই না পাওয়া স্বপ্নের আহবান!                                   

ওগো শিল্পী, ওগো বন্ধু?              

থেকোনা এ ভাবে অন্তরালে,         

জাগো, সাড়া দাও।                    

সৃষ্টি হোক নব ভাবনা, নব চেতনা।                                      

নতুন সুরের মূর্ছনা তোমার মনের বাঁশিতে প্রস্ফুটিত হোক,                                        

তোমার স্বপ্ন মুকুল সদ্যজাত গোলাপের মত।                           

পাপড়ি হোক তার রঙ্গিন, জলে ভেজা কোমল কোরক এর মত,                                    

ডানা মেল তুমি দূর আকাশে,      

ঐ ছোট্ট আশা নিয়ে।                 

আশা রাখো, ঠিক পাবে তোমার ঠিকানা।                        

সেদিন শান্ত হব আমি,               

যেমন শান্ত হয়ে নদী বিলীন হয় সাগরে।

 

মুগ্ধতা

সুকোমল দাস

 

এক বিশেষ স্নিগ্ধ অনুভূতি,

আর সহস্র ভাষাহীন নীরব আবিষ্ঠতা,

যে বা যারা তোমাকে দেখতে চায়,

ছুঁয়ে দেখার আগুনে গলে গিয়ে নয়!

হৃদয় স্পর্শী হৃদয় করে জয়।

তুমি এসো তার দেশে,

সুপ্রভাতের মিষ্টি আলোয়,

তুমি তার দেশে বসন্ত বিকেলের কৃষ্ণচুড়া পলাশের রং হয়ে এসো,

তুমি বর্ষার বৃষ্টিতে এসো তার দেশে,

তার দেশে তুমি শরতের ভাসা মেঘ আয় শিউলির সুরভীতে এসো।

শীতের চায়ের চুমুকে তার দেশে এসো অল্প কথা গল্প গানে,

গ্রীষ্মে তুমি এসো তার দেশে কাল বৈশাখী ঠান্ডা বাতাসে।

যদি সময় না থাকে হাতে,

তুমি এসো ক্ষনিকের তরে,

এসো এক পলক দৃষ্টি প্রদীপ আলোয়!

এসো রঙতুলি ক্যানভাসে,

এসো কবিতায়,

এসো গানে,

এসো অনুভবে,

এসো প্রশান্ত প্রাণে।

পথের বাঁকে এসো,

এসো সন্ধ্যা প্রদীপ হাতে,

এসো পূর্ণিমার চন্দ্রলোকে,

এসো প্ৰিয় উপন্যাসের পাতায় পাতায়।

এসো কোন সুদূর থেকে ভেসে আসা গানের সুরে,

সূর্যাস্তের শেষ আলোয় এসো তুমি,

কোনো প্ৰিয় নদী তীরে,

নয়তো বা ভালোলাগা ভালোবাসার কোনো এক খাল পাড়ে,

না হয় কোনো এক ফুলে ফুলে ভরা উদ্দানে।

মেঘলা দিনের গরম চায়ের চুমুকে ডুব দেওয়া ওই ব্যালকোনিতে।

ভোরের প্রথম আলোয় এসো প্ৰিয় অনুভূতি,

ওই ফুলের পাঁপড়িতে ভোরের শিশিরে।

 

আমি আছি

মধুমিতা পাল

 

অনেক

অপমান, অভিযোগ, অবহেলা

পেরিয়ে, ফুরিয়ে;

আবার ও ফিরে আসা যায়।

 

অনেক রাত্রি বুকে নিয়ে,

চলেছি সৃষ্টি নিয়ে।

সম্ভাবনা নিয়ে।

 

আমি আছি,

যেখান থেকেই শুরু আমার।

আমি আছি,

আর আমি সেখান থেকেই আছি।

হিসেব রাখবে ডিসেম্বর,

শুরু করবে জানুয়ারি।

 

শীতের কবিতা

বর্ণিতা বেরা

 

শীত তুমি এসেছ ফিরে

          আমার সবুজ দেশে,

কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

           বৃদ্ধ বুড়ির বেশে।

ভোরের ওই পুব আকাশে

          সোনালী আলোর ছটা,

নরম ঘাসের ডগার উপর

            স্বচ্ছ শিশির ফোটা।

মাছ দুপুরে রৌদ্র স্নানে

            একটু মিষ্টি ছোঁয়া,

গাছের ডালে মৃদু হাওয়া

          হালকা ছুঁয়ে যাওয়া।

দিন ফুরোলে গোধুলি শেষে

              সব কিছু যায় চুপ,

লাল বরনের সূর্যটা দেয়

            পশ্চিমেতে ডুব।

 

সৌরজগতের তারা

হরিহর গায়েন

 

 মিট-মিট করে জ্বলে উঠে

চুনি বাল্পের মতো লাগে

সন্ধ্যার আকাশে দেখতে মিলে

সৌরজগতে খেলা করে।

 

রং মেখে আকাশ সেজেছে 

অমি ঘাসে বসেছি এসে,

আকাশের তারা ফুটেছে বেশ

সমুদ্রের ঢেউয়ে হচ্ছে শেষ।

 

চারিদিক চুপ প্রকৃতির রূপ

নেমেছে শান্ত স্নিগ্ধ সন্ধ্যা

আলোর ছটা যাচ্ছে হারিয়ে

গোধূলির বেলার দেখা ।

 

রমণীর চুলে রাত্রি নামে

আঁকাবাঁকা সাপের চলনে

অন্ধকারে কালো কুচকুচে

দৃষ্টি কারী অন্ধে চলে।

 

সমুসের মতো রমরমিয়ে চলে

ক্লিপ খুলতে ঝিকমিকিয়ে জ্বল

তেমন করে সৌর জগতে

গ্রহ উপগ্রহ বিরাজিত করে।

 

কৃত্রিম আলো ব্যবহার সকলে

তারাদের আলো দিয়েছে ফুরিয়ে

ডানা কাটা পাখির মতো নীরবে

লুটোপুটি খাচ্ছে মাটিতে বেশ।

 

লেবুফুলের গন্ধ

প্রভঞ্জন সাউ

 

সবার উঠোনেই বোধ হয় একটা করে লেবু গাছ থাকে।

রথের মেলায় ফেরার পথে গৃহস্থ-মন একটা বাহারী ফুলের গাছ কিনবে ভেবে ভেবে শেষে একটা লেবু চারা কিনেই ফেলে।

 আঙিনার পেছনের দিকে

হাত ধোয়ার জায়গাটাতে বসিয়ে দেব, অজান্তে বড় হবে ।তারপর...

 

তারপর একদিন বৈশাখের দুপুরে রোদে তেতে পুড়ে ফিরে দাওয়ায় জিরোতে বসে- হাতে উঠে আসবে এক গেলাস অসচ্ছ টক নোনতা অমৃত জল।

আনমনে প্রশ্ন করবে, "লেবু!  এই অবেলায়! "

 

বাঁকা হাসি সাথে করে উত্তর ভেসে আসবে...

" গেল বার রথের মেলার থেকে .... নিজেই তো এনে পুঁতলে! ওই গাছে এবার কটা কসি ধরেছে গো। তার থেকেই তো... "

তৃষ্ণা মেটার ঢেঁকুরে এবার তৃপ্তি যোগ হবে।

 

তারপর আবার কোন এক দুপুরে জানালার ফাঁক গলে ইতিউতি হালকা মন কেমনের গন্ধ উড়ে আসবে।

জ্ঞানেন্দ্রিয় জানান দেবে লেবুর গাছে ফুল এসেছে....আর

 মধ্যবিত্ত মন কোন বাহারী ফুলের মায়া চোখে জড়িয়ে

পাশ ফিরে শোবে।

 

ভাষার জন্যে

প্রভঞ্জন সাউ

 

ভাব প্রকাশেই ভাষা, বাকিটা বাড়তি । আদিখ্যেতা !!

সহজ তর্কে হারাবে সুনীতি, বাড়ানো যাবেনা কথা ।।

কলমির ফুল, মাছের কানকো, পিসতুতো বোন-ঝি,

মায়ের আঁচল, বুকের নরম, এরম আরো কত কী!!

কোন ভাষাতে বোঝানো যাবে এতসব যত্ন করে?

মায়ের মুখের ভাষার থেকে সহজ কী? আর কী করে??

সেই ভাষাতেই নামলে আঘাত হঠাৎ আকাশ ফুঁড়ে,

ধর্মান্ধ উন্মাদের দল বসলো কেমন উড়ে এসে জুড়ে।

দেখি,

ছিঁচকাঁদুনে বাঙালির বুকে এত্ত সাহস কবে!

ভাষার জন্যে বুক চিতিয়ে দাঁড়ালো ব্যাঘ্র রবে।

আজান-প্রণাম -কোলাকুলি- দলাদলি!  সব ভুলে,

তরুণ-অরুণ জোয়ান হাজার রক্ত দিল বুক ঢেলে ।।

বাঙালীর মাথা সোজা হয়ে সেদিন অসীম আকাশ ছুঁলো,

দুনিয়ার হাটে রক্ষে করলো, শুধু জাত নয় কূল ও।।

 

একুশের রক্তে লাল রাজপথ আর হৃদ -অলিন্দের গলি,

ভুলতে চাইনা, ভুলতে দেবো না, আর কেমনেই বা ভুলি !!!

..... ….....শহীদ শ্রদ্ধার্ঘ্য

 

 

 

 

 

আমার দুর্গা

পুস্পিতা সুকুল বেরা

 

শিউলির আমেজ মাখানো শরতের ভোরে,

আগমনী গান বেজে উঠেছে বাংলার ঘরে ঘরে।

মা দুর্গার প্রতীক্ষায়, প্রকৃতির সাজায় রূপের ডালি---

ঘরে ঘরে কিন্তু আমার দুর্গা হিংসা লালসার বলি।

প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মৃন্ময়ী মায়ের হয় আরাধনা,

কতশত ভ্রুন বিনষ্ট মাতৃ জঠরে যায় না যে গোনা।

আমার দুর্গা আজও নিপীড়িতা ধর্ষিতা দিনে রাতে,

আমার দুর্গার দিবস রজনী কাটে আজও ফুটুপাতে।

আজও মাঠে-ঘাটে-পথে আমার দুর্গা রক্ত,ঘাম, ঝরায়,

প্রতিনিয়ত বাঁচার লড়াইয়ে অস্তিত্বটাকেই হারায়।

অসুর দলনী দেবী দুর্গা দিকে দিকে পূজিত---

আমার দুর্গা আজও মূল্যহীনা সম্মান তার লুন্ঠিত।

পরাধীনতার শৃঙ্খলে আজও আমার দুর্গা আষ্টে পৃষ্ঠে বাঁধা---

মাটির দুর্গা চিন্ময়ী রূপে জগতে লেগেছে দারুন ধাঁধা।

জ্যান্ত দুর্গা পায়না পূজা, অবহেলিত হয় সদাই--

কদর পাবে দুর্গা আমার যেদিন মিটবে মিথ্যে আভিজাত্যের লড়াই।

 

চোখের সাথে মনের সম্পর্ক

সুকোমল দাস

 

এখনো আমাদের দেশে নারীকে এ বেশে দেখলে,

পথ চলতে চলতে দাঁড়িয়ে যেতে দেখি এক শ্রেণীর পুরুষকে!

এই বেশে মেয়েটি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ঘাড় ঘুরিয়া তাকিয়ে থাকতে দেখি ওদের!

 

আবার ওদের অনেককে বলতে শুনি,

কিরে, মালটা দেখলি?

পুরো খাসা!

এরকম ও এই জাতীয় কিছু।

আবার অনেক রোড সাইড রোমিওতো হেঁটে বা বাইক ঘুরিয়ে নির্লজ্জের মত পিছু নিতেও দেখি!

এরকম দৃষ্টিভঙ্গিযুক্ত পুরুষদের বলছি.....

কেমন লাগে বলুন তো?

যদি এরকম পোশাক পরা আপনাদের কারোর বোন দিদি বান্ধবী স্ত্রী প্রেমিকা কে কেউ এরকম বলে।

আর কেমন লাগবে যদি সে সময় আপনি আপনার বোন দিদি বান্ধবী প্রেমিকা বা স্ত্রীর সাথেই থাকেন?

ভেবে দেখেছেন কখনো?

ভাবেননি না?

ভাববেন বা কেনো?

আসলে আপনারা তো আবার এভাবে ভাবানোর মতো মানুষকে বাঁকা চোখে দেখেন!

বলেন ওরা নাকি মেয়েলি পুরুষ!

সত্যিই আপনারা কি সুপুরুষ বা প্রকৃত অর্থে পুরুষ?

বলুন তো?

যে বা যারা এরূপ পোশাক পরা সুশ্রী মেয়েদের দেখলেই অস্থির হয়ে পড়েন!

ছটফট করতে থাকেন!

একেবারে বিছানা ভাবনাতে চলে যান!

এরূপ পোশাক পরা মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টিতে তাকানো,

আজেবাজে কমেন্ট পাস করা,

পিছু নেওয়া ইত্যাদির বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে,

আপনারা আবার এক হয়ে যান,

তারপর আপনাদের সেলটার আর সিকিউরিটি দিতে এসে যায় সমাজের কিছু ন্যাতাগন।

উল্টে আপনারা তো আবার এই যুক্তিও দিয়ে থাকেন যে,

মেয়ে হয়ে এরকম পোশাক পরবে কেনো?

মেয়েরা কি মেয়েদের পোশাক পরতে পারে না নাকি?

মেয়েরা যদি এরকম পোশাক পরে পুরুষদের উত্তেজিত করে,

আমরা কি করবো?

আমাদের ঘরের মেয়েরা এরকম পুরুষালি পোশাক পরে না,

চাইলেও এরকম পোশাক পরতে দেওয়া হয় না আমাদের বাড়িতে।

ও!

আপনারাতো আবার মনে করেন,

আধুনিক হওয়ার অধিকার কেবল পুরুষদেরই!

তাইতো আপনারা শুট বুট জিন্স টুপি সানগ্লাস বাইক স্মার্টফোন নিয়ে আধুনিক পোশাক পরা মেয়েদের উদ্দেশ্যে উল্টোপাল্টা বলবেন,

 ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকাবেন,

এটাই আপনাদের আধুনিকতা আর পুরুষত্ব!

তাহলে বলি শুনুন!

এরকম পোশাক পরা সুশ্রী মেয়ে দেখলেই অস্থির হয়ে পড়াটা কোন প্রকৃত পুরুষের পরিচয় নয়।

ভালো লাগার মধ্যে কোনো অন্যায় নেই।

সেই ভালোলাগা দিয়ে আপনি কবিতা লিখুন,

গান লিখুন,

ছবি আঁকুন,

তার মধ্যেও কোন অন্যায় তো নেই।

পরিবর্তে সেটা সৃজনশীল দারুন একটা চর্চা প্রতিভা ও দক্ষতার পরিচয় দেয়।

আর যদি এসব না পারেন,

তাহলে চুপচাপ দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজের জায়গায় থাকুন,

নিজের ভালোলাগা বা মুগ্ধতার অনুভূতিকে লাগাম দিতে শিখুন।

পোশাক পরার স্বাধীনতা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে  সবার আছে।

কে কি কেমন পোশাক পোরবেন,

আজকের সমাজ ব্যবস্থায় সেটা তার রুচি,

তার কাজকর্ম করার সুবিধা অসুবিধা,

আর পছন্দ অপছন্দ রুচির বিষয়।

কোন পুরুষের কোন মেয়েকে পছন্দ হতেই পারে ভালো লাগতেই পারে,

ভালো লাগার মধ্যে কোন অন্যায় নেই,

আর একান্তই যদি নিজের ভালো লাগা আবেগ অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে,

নিজেকে সামলে রাখতে না পারেন,

তাহলে অচেনা অজানা এমন কাউকে ভালো লাগলে,

যান তার কাছে গিয়ে তার সাথে পরিচয় করুন,

যদি তিনি পরিচয় করতে অসুবিধাবোধ না করেন,

তাহলে পরিচয় করুন।

আর পরিচয় করতে বা পরিচয় দিতে যদি  অসুবিধাবোধ করেন,

তাহলে চুপচাপ ভদ্রভাবে নিজের জায়গায় ফিরে আসুন।

আপনার কাউকে ভালো লেগেছে,

তার মানে তো এটা নয় যে,

উনাকেও আপনাকে ভালো লাগতে হবে।

আর সুশ্রী কাউকে দেখলেই রুম ডেট বা বেড ভেবে ফেলাটা পৌরুষত্ব নয়।

তার মধ্যে যেটা আছে সেটা হল বিকৃত অনিয়ন্ত্রিত কাম বাসনা!

কারোর বাড়ির বাগানে সুন্দর একটা গোলাপ ফুটেছে।

তাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে,

তার প্রেমে পড়ে,

তাকে নিয়ে গান কবিতা গল্প লিখুন,

তাতে কোন সমস্যা তো নেই,

পরিবর্তে তার মধ্যে আছে সৃজনশীলতা,

আপনার কাব্যিক মনস্কতা আর আপনার সুন্দর মনের পরিচয়।

কিন্তু বাগানের ঘেরা টপকে সেটাকে গাছ থেকে তুলে এনে নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শোঁকা,

বা বালিশের পাশে রেখে দেওয়ার মধ্যে সেই মহত্ত্ব নেই,

পরিবর্তে আছে নিন্দা অপবাদ আর বদনাম।

 

বন্ধু

কমল সাউ

 

খুব আদরের একটা বন্ধু আছে আমার। একেবারে গাছের মতো। আমার পাশেই থাকে, মাটিতে শিকড় গেঁথে।

আমি কোথাও গেলে সাথে যায় না। তবে অপেক্ষা করে।

আমায় ছায়াতে রাখে আড়াল করে। গনগনে আঁচের মতো দুপুরে নিজে পিঠে করে ছায়া নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আমার আগে। আড়াল করে রাখাই যার লক্ষ্য, তাকে আলাদা করে সম্পর্ক তৈরি করতে হয় না। সম্পর্ক ভীষণ আবেগি, ওকে বুদ্ধি দিয়ে বিচার করলে চলে না।

তাই, আমার বন্ধুকে আমি বিচার করি না।

বলে, আমি নাকি মাটির মতো। আচ্ছা তোমরাই বলো, মানুষ মাটি থেকে তৈরি হতে পারে, তবে মাটির মতো কীভাবে হয়?

অবশ্য এই প্রশ্নের খুব সহজ উত্তর দেয়।

বলে," মাটি না থাকলে, গাছ তাকে আঁকড়ে ধরে কীভাবে?"

আমি একেবারে যে কম বুঝি তা নয়, তবে মাটির মতো এত সহজ সরল স্বভাব আনতে পারি নে। কিন্তু আমায় মাটি বলে। বলে," তোমার থেকে অনেকেই জীবনে চলার রসদ খুঁজে নিতে পারে।"

আমি ওর কথা শুনে হাসি।

নিতান্তই আমায় ভালোবাসে, তাই এমন কথা বলে।

আমি ওকে কখনোই ভালোবাসার সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করি নে। বলতেও চায় না সহজে।

মুক্তি যাদের স্বভাবে থাকে, প্রশ্ন দিয়ে তাদের বাঁধা চলে না। ওকেও আমি বাঁধতে চাই না।

ওর স্বভাবে যে কী নূতন ভাব আছে তা ধরতে পারি নে। তবে নূতন যে কিছু একটা আছে, তা বুঝতে পারি। নূতন ছাড়া জীবন চলে না। আবার পুরাতন কেও সরিয়ে দিতে মন চায় না। তাই সব মিলিয়েই আঁকড়ে থাকতে চায় ও।

স্বভাব যার আগলে রাখা, তাকে আর আলাদা করে কীসের সম্পর্ক শেখাই বলো দেখি!!!

 

দুটি শব্দ

শুভেচ্ছা দাস

 

'প্রয়োজন' আর 'প্রিয়জন,

বাস্তবে অর্থহীন এই প্রিয়জন,

মনে হয় সবটাই যেন প্রয়োজন।

সমাধান:

'প্রিয়জন' কে সত্যিই সত্যিই 'প্রয়োজন' এর তালিকায় নথিভুক্ত করে তুলতে হবে; সেদিন থেকে ম্যাজিক এর মতো 'প্রয়োজন' শব্দটির অবলুপ্তি হবে ।।

 

প্রকৃত প্রেম

সুকোমল দাস

 

প্রেমের পথটা কবে ছিলো মসৃন?

প্রেমের সফরটা কবে ছিলো চির সুখকর?

প্রেমের যাত্রাটা কবে ছিলো বাধাহীন?

প্রেম তো সৃষ্টির ক্ষন থেকে ছিলো অনেকটা কঠিন পথ পেরিয়ে,

বহু দুঃখ যন্ত্রনা কষ্ট সহ্য করে,

অনেক কিছু ত্যাগ করে,

অনেক কিছু ক্ষমা করে,

শেষমেশ এসে মিলিত হওয়া দুটি মনের একটি গন্তব্য।

ঠিক সুউচ্চ কোনো পর্বত শৃঙ্গ থেকে বয়ে আসা বিপুল জলরাশি,

যেমন পাহাড় পর্বতের ঘাত প্রতিঘাত,

আলো অন্ধকার,

গভীর জঙ্গল,

প্রয়োজনে মরূপথ পেরিয়ে,

মোহনায় এসে মিলিত হয়।

যে প্রেমে বুক ভাঙা দুঃখ আসেনি,

যে প্রেমে দুরলঙ্ঘ প্রাচীর সমান বাধা আসেনি,

যে প্রেমে ধৈর্য্যের চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা নেওয়া,

ক্ষনিকের বিরহ বিচ্ছেদ আসেনি,

যে প্রেমে রাত জাগা চোখের জল লেখেনি কাব্য কবিতা গল্প উপন্যাস!

অশ্রুজলে গায়নি গান বিরহ বেদনার!

সে প্রেম তো নিষ্প্রাণ!

সস্তা সুন্দর।

ক্ষণিক আবেগের মোহ,

একটা নিছক চাহিদা খিদা মাত্র।

কিন্তু যে প্রেম বহু বাধা,

যন্ত্রনা, জটিলতা,

ত্যাগ আর ধৈর্য্যের চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে,

খুঁজে পায় তার কাঙ্খিত ঈপ্সিত গন্তব্য!

যেখানে কাছে পায় তার স্বপ্নের প্রিয়জনকে।

যে প্রেমের বহু ঈপ্সিত মিলন আনন্দ অশ্রু!

চোখের পাতা থেকে ঝরে পড়ে,

মন খারাপের শুষ্ক রুক্ষ গালকে,

ভেজা চুম্বনে আদর করতে করতে।

কাছে এসেও ক্ষণিকের জন্য দাঁড়িয়ে যায়!

দুটি গভীর প্রেমাসক্ত মনের বহনকারী,

দুটি মিলন আসক্ত শরীর।

আর তারপর দুটো মনের দুই আধার শরীর,

একে অপরকে আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে খুশির চোখের জলে!

সেই বহু ঈপ্সিত মহেন্দ্র ক্ষণের সুখ শান্তিময় অনুভূতির প্রকাশ সত্যিই অনির্বচনীয়।

সে সুখ প্রাপ্তি আর পরম শান্তিময় তৃপ্ত অনুভতির পরে,

যদি চিরতরে নিভে যায় দৃষ্টিপ্রদীপ!

স্তব্ধ হয়ে যায় হৃদ স্পন্দন!

তখন জীবনের প্রতি আর তেমন কোনো অভিযোগ অনুযোগ থাকে না।

হাসিমুখে সব কিছু ভুলে পাড়ি দেওয়া যায়,

জীবনের ওপারে।

আর যেতে যেতে হাসিমুখে এপারে থাকা প্রিয়জনকে বলে দিয়ে যাওয়া যায়,

এপারের বাকি পথচলাটা,

আবার শুরু করবো জীবনের ওপারে,

আমি অপেক্ষা করছি তোমারই জন্য জীবন ওপারের দুয়ারে,

জীবন এপারের খেলা শেষ করে,

বেলা শেষে তুমি এসো প্রিয়।

সাঁঝলি আলো মেখে!

আমি দাঁড়িয়ে থাকবো তোমার জন্য,

সন্ধ্যা প্রদীপ ওপারের উঠানে।

 

সময় কে পার করে দাও

শুভেচ্ছা দাস

একদিন আমি সব কিছু সহ্য করা শিখে যাবে।

অনেকটা পাল্টে যাবো আমি!

যা আজ ভেবে ক'ষ্ট পাচ্ছি তা ভেবেই একটা সময় খুব করে হাসবে।

যা আজ করতে ভয় পাচ্ছি সেটাই একদিন প্রিয় হয়ে যাবে। দ্বিধাদ্বন্দ্বে না ভুগে ঠিকই আমি সাহসী হয়ে উঠবে।

ভালো থাকার প্রশ্নে মুখের উপর জবাব দিতে জানবো। বুঝবো অনেক কিছু যা আগেই বোঝা উচিত ছিলো।

 

একদিন সত্যি আমি বদলে যাবো। নিজের জন্য, নিজের সুখের জন্য, নিজের ভালো থাকাকে দুহাত ভরে আগলে রাখার জন্য।

শুধু একটুখানি ধৈর্য নিয়ে এই সময়টা পার করি, দিগন্ত বিস্তৃত সূর্যোদয় আমার জন্য অপেক্ষায়।

 

বিশ্বাস করি আমিই পারবোই!

 

আলাদা

কমল সাউ

 

আলগা..

আমার আমি হই নি।

বদলে যায়নি

চাওয়া পাওয়া আমার।

 

আছি আমি সেই প্রথম আমি।

আজও আছ তুমি সেই নতুন।

 

তুমি জোর করে বাধ্য ছেলের মত শাসন করে বসিয়ে রেখেছ আমাকে।

 

কঠিন, কোঠর করে..

সহজ সরল মনটাকে

আলাদা

আলাদা

করে দূরে রেখেছ।

 

ছুঁতে চাইছো না

ভয়, হারিয়ে ফেলার

ভয়, স্বাধীনতা হারানোর

ভয়, অধিকার না পাওয়ার

 

সবই হাতের নাগালে আছে।

বয়সের ভারে

সবটা যেন

আবছা।

 

হারবে না তুমি, যদি তুমি নিজে না চাও।

 

অপরিনত

সুস্মৃতির স্বামী যখন তাকে জিজ্ঞেস করেছিল,

'আমার দ্বিতীয় বিবাহ নিয়ে তোমার কী মতামত সুস্মৃতি?'

তখন সুস্মৃতি এক বাক্যে উত্তর দিয়েছিল,

'করে নিন বিয়ে।'

সেদিন প্রিয় স্বামী অপলক দৃষ্টিতে কীয়ৎক্ষণ তাকিয়ে ছিল স্ত্রীর মুখের দিকে। তার দু'চোখে বিস্ময় ছিল না। ছিল না অবিশ্বাসের ছাপ। নিষ্প্রাণমুখ নিয়ে চেয়ে ছিল সে। অতঃপর সেখান থেকে চলে গিয়েছিল। যাওয়ার আগে কিছুটি বলেনি। ওই দিনের পর আর স্বামীর সাথে কথা হয়নি সুস্মৃতির। ওটাই ছিল শেষ কথা। আজ প্রায় কয়েক দিন হলো। দেখা হয়, দৃষ্টি বিনিময় হয়, হৃদয়ে দহন হয়, কিন্তু মুখে কথা ফোঁটে না। সুস্মৃতি ভাবে, মানুষটা কেনই বা এখন কথা বলবে তার সাথে? কিছুদিন পর মানুষটা নতুন বিয়ে করতে চলেছে। সে তো এখন স্বামীর কাছে একটি অবহেলার জিনিস ছাড়া আর কিছুই নয়। তার সাথে কথা বলার মন কি এখন আছে মানুষটার? কথাটা মনে উঠতেই সুস্মৃতির হৃদয় ভার হয়, নেত্র হতে জল ঝরে।

সুস্মৃতি আর সজলের বিয়ের সাত বছর পূর্ণ হয়ে, আট বছর চলছে এখন। যখন বিয়ে হয় তখন সুস্মৃতির বয়স মাত্র চৌদ্দ বছর। সুস্মৃতির জন্মের সময় তার মা মারা যায়। তার বাবা নিয়ে মেয়েকে অলক্ষ্মী মনে করেন। রাগান্বিত হন সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া মেয়ের উপর। রাগ করে বাড়ি ছাড়েন। এরপর আর কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি তার বাবার। সুস্মৃতি বড়ো হয়েছে দাদু-ঠাকুমার কাছে। অবহেলা, অযত্নে বেড়ে ওঠা তার। কে জানতো অনন্ত মন্ডলের দৃষ্টি এসে এই অবহেলা, অযত্নে বেড়ে ওঠা কিশোরীটির উপরই পড়বে? কী দেখে যে তিনি ছেলের বউ করার জন্য সুস্মৃতিকে পছন্দ করেছিলেন, সেটা সকলের কাছেই বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল। হয়তো মেয়েটি লাবণ্যময়ী রূপের অধিকারী হওয়াতেই পছন্দ করেছিলেন। তিনি সুস্মৃতিকে ছেলের বউ করে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠালেন তার দাদু-ঠাকুমার কাছে। দাদু-ঠাকুমার কাছে মেয়েটি ছিল একটা বোঝা স্বরূপ। বোঝাকে বিতাড়িত করতে পারলেই তারা চিন্তা মুক্ত। আর যখন প্রস্তাবটা এলো বড়ো ঘর থেকে তখন তো এটা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। অনন্ত মন্ডলের কাছ থেকে প্রস্তাবটা পেয়ে তারা খুশিতে গদগদ হলেন। অনন্ত মন্ডলের পারিবারিক অবস্থা খুব ভালো। বিষয় সম্পত্তি আছে বিপুল পরিমাণ। এমন ঘর থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। যখন তারা নিজ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে তখন প্রস্তাব হাতছাড়া করা মোটেই ঠিক কাজ হবে না।

সুস্মৃতির এত কম বয়সে বিয়ে করার মন ছিল না। কিন্তু তার মত থাকা-নাথাকার উপর যে কোনো কিছু নির্ভর করে না সেটা সে ভালো করে জানে।কারন সে জানত তার কথার কেউ গুরুত্ব দিবে না। বিয়েতে অমত করলেও কোনো লাভ নেই। তাই মনে মনে বিয়ে না করতে চাইলেও মুখে সে 'না' শব্দটি উচ্চারণ করেনি। এছাড়া নিজেও ভেবে দেখেছে, দাদু-ঠাকুমার কাছে তার জীবন কষ্টের। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে গেলে জীবন কিছুটা সুখের হলেও হতে পারে। বিয়ের আগে স্বামীর মুখশ্রী দেখার সুযোগ হয়নি তার। দেখা হওয়ার সময় ছিল। চাইলে মানুষটা দেখা করতে পারতো তার সাথে। কিন্তু করেনি। স্বামীর মুখ দেখেছিল একেবারে বিয়ের দিন।

দুপুরের এক ছটা আলসে রোদের নির্জন দ্বি-প্রহরে সুস্মৃতির মানসপটে হঠাৎ দূর অতীতের সুপ্ত মুখর স্মৃতিটা হুড়মুড় করে উঠলো। তার স্পষ্ট মনে আছে ওই রাতটা। স্মৃতির পাতায় গাঢ় লেপন ফেলে আছে ওই রাত। সে লাল বেনারসি পরে বসেছিল। কাঁচা ফুলের গন্ধে ভাসছিল পুরো কক্ষ। সুস্মৃতির বুক ছিল দুরুদুরু। শ্বশুর বাড়িতে পা রাখার পর থেকেই বক্ষে তার এমন সমর শুরু হয়েছিল যা বলার মতো নয়। পুরো অচেনা এক পরিবেশে এসেছে সে। ভয়, আড়ষ্টতায় অন্তর গাঁট হয়েছিল। একটু পরই সে স্বামী নামক ব্যক্তিটার সাক্ষাৎ পেতে চলেছে। যে ব্যক্তিটার সাথে সে একবারও পরিচিত হয়নি। সুস্মৃতির হৃদয় ছটফট করছিল। এমন মুহূর্ত তার জীবনে আর কখনও আসেনি। কক্ষের দরজা খোলা ছিল, হঠাৎ খোলা দরজা দিয়ে একজন মানুষের আগমন ঘটলো। মেয়েটির দম বন্ধ হয়ে এলো ওই মুহূর্তে। ঘোমটার আড়ালে তার মুখটা দেখলে নিশ্চয়ই মানুষটা হেসে ফেলতো তখন। কয়েক মুহূর্ত সুস্মৃতির অন্য কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ ছিল না। সে ব্যস্ত ছিল নিজেকে মানাতে। তার ভিতরটা ক্রমশ জড়ো-সড়ো হয়ে আসছিল। সাহস নামের যে জিনিসটা আছে সেটা চুপসানো বেলুনের মতো নেতিয়ে পড়েছিল একেবারে।

সজল খাটের পাশে থাকা একটা টুল টেনে বসলো। চুপচাপ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল বধূবেশী মেয়েটার দিকে। ঘোমটার কারণে মেয়েটার ভয়ে থমথম মুখটা দেখতে পাচ্ছে না। কিন্তু সে বেশ উপলব্ধি করতে পারছে মেয়েটার ভাবগতিক। মনে মনে হাসি পেল তার। কত ছোট একটা মেয়ে বধূ বেশে বসে আছে তার ঘরে। এগারো বছরের ছোট তার। সজলের  ঠোঁটে হাসি উপচে পড়তে চাইলে সে কোনো রকম চেপে নিলো সেই হাসি। আরও কিছুক্ষণ নীরবতার পর বধূবেশী কিশোরী মেয়েটির উদ্দেশ্যে বললো,

                'নমস্কার '

পুরুষালি কণ্ঠের বিশুদ্ধ নমস্কার ধ্বনি শুনে মেয়েটির গলা শুকিয়ে এলো। হৃদকম্পন বেড়ে গেল আরও কয়েক গুণ। মুখ মন্ডল ঘামতে লাগলো। চাইছে নমস্কারের উত্তরটা দিতে, কিন্তু গলার কাছে কঠিনভাবে কিছু একটা বিঁধে আছে। যেটা গলা থেকে স্বর বের হতে দিচ্ছে না। শত চেষ্টা করেও সুস্মৃতি ব্যর্থ হলো  উত্তর দিতে। গলা দিয়ে সামান্য একটু আওয়াজও বের হলো না তার।

সজল বললো,

"কেউ নমস্কার করলে তার উত্তর দিতে হয়, জানো না সেটা?"

সজলের কথায় মেয়েটির ভিতরটা আরও চুপসে গেল। কাচুমাচু হয়ে গেল ভয়ে। এবারও সে নির্বাক রইল। সজল প্রশ্নের উত্তর পেল না। মেয়েটির এমন অভিপ্রায় দেখে তার কেবলই হাসি পেতে লাগলো। কিন্তু সে হাসলো না। প্রসঙ্গ পাল্টে বললো,

"আমি সজল মন্ডল তোমার স্বামী। চেনো আমাকে?"

সুস্মৃতি একটু থমকালো। সজলের প্রশ্নটা ভালো করে উপলব্ধি করার চেষ্টা করলো। এটা আবার কেমন কথা, কেমন প্রশ্ন? কথাটায় বড়ো ধরণের একটি গরমিল উপলব্ধি হলো তার।

"কী ব্যাপার? এত চুপচাপ কেন তুমি? কোনো কথা বলছো না কেন?"

মেয়েটির থেকে এবারও কোনো সাড়া পাওয়া গেল না। সজল ক্ষুদ্র একটা নিঃশ্বাস ত্যাগ করে বললো,

"ঠিক আছে, কথা না বলো, ঘোমটা সরাও। দেখি তোমায়। দেখতে ঠিক কেমন তুমি?"

সজলের এই কথায় মেয়েটি লজ্জা পেল। সলজ্জ মুখখানিতে ছড়িয়ে পড়লো লজ্জার লাল প্রভা।

সজল মেয়েটির এমন মৌন আচরণে একটু অধৈর্য অনুভব করলো। টুল ছেড়ে খাটের উপর এসে বসলো সে। সুস্মৃতির মুখের উপর পড়ে থাকা ঘোমটা নিজেই সরিয়ে দিলো। সুস্মৃতির নত মুখটা তখন আরও নত হয়ে এলো। সজল ওই লাবণ্যময়ী মুখখানিতে চেয়ে থেকে বললো,

" তুমি দেখতে তো খুব সুন্দর, কিন্তু তোমার আচরণ এত কেন অসুন্দর? একজন একাই শুধু কথা বলে যাচ্ছে অথচ তুমি তার কথাতে হু, হা পর্যন্ত করছো না! তুমি   কিরকম মেয়ে !"

সুস্মৃতির মুখ কয়লা বর্ণ ধারণ করলো। মুখমন্ডল বিষন্ন দেখাচ্ছে। সজল ওই মুখ দেখে হেসে ফেললো। প্রশ্ন করলো,

"নাম কী তোমার?"

মেয়েটি জবাব দিলো না। তবে মানুষটাকে কেমন যেন মনে হচ্ছে তার। নিজের বউয়ের নাম কি সে জানে না? অবশ্যই জানে। তাহলে কেন আবার নাম জানতে চেয়ে প্রশ্ন? মানুষটা যেন একটু বেশিই ফটফটে!

"কী হলো? বলবে না নাম? আসার পর থেকেই দেখছি তুমি চুপচাপ। কাহিনী কী? তুমি কি কথা বলতে পারো না? তুমি কি বোবা?"

সুস্মৃতি যেরকম ছিল ঠাঁয় সেরকম বসে রইল। সজল ওর নীরবতা দেখে বললো,

"যাক শেষ পর্যন্ত একটা বোবা মেয়েকে বিয়ে করলাম আমি। তো বোবা মেয়ে, বলো দেখি, স্বামী পছন্দ হয়েছে তোমার?"

এই কথা শুনে মেয়েটির লজ্জায় মরে যাই যাই অবস্থা হলো। সে বেশ বুঝতে পারলো এই লোকটার মুখে কোনো লাগাম নেই। ঠোঁটের কোণে লজ্জা টানা একটা হাস্যভাব ফুঁটে উঠলো সুস্মৃতির। সজল তা লক্ষ্য করে বললো,

"বোবা মেয়ে দেখছি লজ্জাও পেতে জানে।"

বলে মৃদু হাসলো।

কিছুক্ষণ নীরবতা গেল।সুস্মৃতি মুখ নত করেই বসে রইল। সজল অন্যমনস্ক হয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল। হঠাৎই বললো,

"তোমার নাম সুস্মৃতি তাই না?"

প্রশ্নটা করতে করতে মেয়েটির দিকে তাকালো।

সুস্মৃতি হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লো।

"কে রেখেছে এই নাম? উত্তর দেবে এইবার। নইলে টেনে এক চড় মারবো।"

সজলের কথার ধারালো তেজে মেয়েটি কেঁপে উঠলো। নত মাথাটা অগত্যা সোজা হলো। কাঁপা কাঁপা স্বরে উত্তর দিলো,

"দা-দি।"

"হুম..." ঈষৎ মাথা দোলাতে দোলাতে উচ্চারণ করলো সজল। "আমাদের বাড়ির পিছনে একটা পদ্মপুকুর আছে। যাবে সেখানে?"

মেয়েটি তাকিয়ে রইল। তার মৌনতা দেখে বোঝা গেল সে যাবে। ওই রাতে সজল সুস্মৃতিকে পদ্মপুকুর ঘাটে নিয়ে এসেছিল। সময়টা ছিল শরৎকাল। অনেক পদ্মফুল ফুঁটে ছিল পুকুরের জলে। আকাশে চাঁদ, পরিবেশ ছিল স্নিগ্ধ জোৎস্না মাখা। চাঁদের আলো থলথল করছিল পুকুরের জলে। সজল বললো,

"তুমি আমার থেকে বয়সে অনেক ছোট "

"..." মেয়েটি ছোট করে উচ্চারণ করলো।

"আমি তোমার থেকে কত বছরের বড়ো জানো?"

মেয়েটি স্বামীর মুখের দিকে তাকালো। চাঁদের আলোয় স্বামীর শ্যাম বর্ণের মুখটা সহসা আপন মনে হলো তার। মুখ দেখে যেন অনুমান করছে পার্থক্যটা। বললো,

"পনেরো বছরের?"

সজল হেসে বললো,

"উহু, এগারো বছরের।"

সুস্মৃতির মস্তক নত হয়ে এলো আবার। সঠিক উত্তরটা দিতে পারলো না বলে মন খারাপ হলো। সজলের কণ্ঠ শুনতে পেল,

"পদ্মপুকুরের ঘাটে বসে আছি অথচ  পদ্মফুল  স্পর্শ করছি না  বড্ড বেমামান লাগছে দেখতে।

এই   বলে সে সিঁড়ি ভেঙে নেমে গেল। জলের নিচে চলে যাওয়া সিঁড়ির ধাপে নেমে হাত বাড়িয়ে একটা পদ্মফুল তুললো। কষ্ট হয়েছে ফুলটার নাগাল পেতে। তিনটা ফুলই ঘাটের কাছে ছিল। বাকি সব ফুল দূরে দূরে। ফুলটা নিয়ে সজল ফেরত এলো মেয়েটির কাছে। ঠোঁটে প্রাঞ্জল হাসির রেখাপাত ঘটিয়ে ফুলটা সুস্মৃতির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো,

"তোমার জন্য ছোট উপহার।আর বড় উপহারটা পরে দিব।

সুস্মৃতির দুই গাল বেয়ে উষ্ণ জলের ধারা গড়িয়ে পড়লো। স্মৃতিরা হালকা হয়ে বাতাসে মিলিয়ে গেল।  চোখের জল মুছে নিলো। এই মুহূর্তে সে সেখানটাতেই বসে আছে। পদ্মপুকুর ঘাটে। পুকুর জলে ফুঁটে আছে লাল পদ্মরা। এটাও শরৎকাল। এক শরতে বিয়ে হয়েছিল তাদের। আরেক শরতে আবারও বিয়ে করতে চলেছে তার স্বামী!

সুস্মৃতি পুরোনো দিনের জীবন সম্পর্কে ভাবতে লাগলো। বিয়ের পর জীবন তো সুন্দরই ছিল, সুখের ছিল। শ্বশুরমশায পছন্দ করে বাড়ির বউ করে এনেছিল তাকে। আদর-যত্নে রেখেছিলেন।   আসলে মেয়েটি ছিল শশুরমশাযের নয়নের মণি শাশুড়ির কাছ থেকে ভালোবাসা পায়নি শাশুড়ি চেয়েছিলেন  খানদানি পরিবারে ছেলের বিয়ে দিতে। কিন্তু পারেননি। অনন্ত মন্ডল সুস্মৃতিকে ছেলের বউ করার জন্য পছন্দ করলেন। কিন্তু তার স্ত্রী ভেবেছিলেন ছেলে এই বিয়েতে মত দেবে না। কিন্তু সেখানেও তার ভাবনার জোর খাটলো না। সজল প্রথমে মেয়ের অল্প বয়স বলে অমত করলেও পরে আবার মত দেয়। বিয়েটা হয়ে যায়। কিছু করার থাকে না। শাশুড়ির ভালোবাসা না পেলেও এখানে ভালোই জীবন কাটছিল সুস্মৃতির শাশুড়ির বাধ্য হয়ে হলেও বৌমার সাথে ভালো আচরণ করতে হতো। তার মাঝে ধীরে ধীরে বোধহয় একটু একটু মায়াও জন্ম নিচ্ছিল সুস্মৃতির প্রতি। কিন্তু একটা ঝড় সেই মায়ার খুঁটি নাড়িয়ে দিলো।

সুস্মৃতির জীবনে তখন থেকেই একটু একটু করে বিষাদ ঢুকে পড়ছিল, যখন তার শ্বশুর মারা গেল! শ্বশুর মারা গিয়েছে আজ প্রায় এক বছর হলো। শ্বশুর মারা যাওয়ার পর যেন শাশুড়ি একটু রুক্ষ হয়ে উঠলো বৌমার প্রতি। খিটখিটে আচরণ করতো। আর খিটখিটে আচরণ একেবারে নির্দয় হয়ে উঠলো যখন প্রকাশ পেল সুস্মৃতি মা হতে পারবে না কোনোদিন! এটা প্রকাশ হওয়ার পর কত লোকের কত কথা শুনতে হলো সুস্মৃতিকে কত অশ্রু যে বিসর্জন দিয়েছে সেটা শুধু সে জানে। সজলও  অনেক কিছুই জানে।

সজল অবশ্য মা হতে পারবে না বিষয় নিয়ে কখনও কিছু বলেনি তাকে। একটা মাস থমথমে পরিবেশের মধ্য দিয়েই কেটে গিয়েছিল। ঝামেলা যত শুরু হলো ওই এক মাস পর।সজলের মা,দাদা, বৌদি, কাকুর পরিবার সবাই মিলে সজলকে বোঝাতে  লাগলো সুস্মৃতিকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন একটা বিয়ে করার জন্য। সজল এটা শুনে রেগে গেল। ঝগড়া-ঝাটি, কথা কাটাকাটি চললো অনেক দিন অবধি। সজল কিছুতেই সুস্মৃতিকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করবে না।

কিন্তু হঠাৎ কী যেন হলো সজলের ! যত সময় যাচ্ছিল মেয়েটি বুঝতে পারছিল সজলের মত পরিবর্তন হচ্ছে ক্রমশ। হয়তো সজল বুঝতে পেরেছে একটা সন্তান জীবনের অতি প্রয়োজনীয় সম্পদ। এজন্যই হয়তো সে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য মনস্থির করেছে। সুস্মৃতি ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছিল যখন সজল জিজ্ঞেস করেছিল, 'আমার দ্বিতীয় বিবাহ নিয়ে তোমার কী মতামত সুস্মৃতি ?'

মানুষটার যদি দ্বিতীয় বিয়ে করার মন না থাকতো তাহলে কি জীবনে এমন একটা প্রশ্ন করতো স্ত্রীর কাছে? সুস্মৃতি ধরে নিয়েছিল সজল তাকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন বিয়ে করবে। কিন্তু সজল তার ধারণায় কিঞ্চিৎ পরিবর্তন এনেছে। সজল বিয়েতে মত দিয়েছে ঠিকই কিন্তু তাকে ডিভোর্স দেয়নি। সজলের পরিবার বিষয়েও ক্ষেপে যায়। মেয়েকে ঘরে রাখার কী আছে? নতুন বিয়ে তো করছোই।

সজল সকলকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সুস্মৃতিকে সে কিছুতেই ডিভোর্স দেবে না। নিয়ে আর একটা কথা হলে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। পরিবারের লোকেরা এরপর আর কিছু বলার সাহস পায়নি। ছেলে যে দ্বিতীয় বিয়েতে মত দিয়েছে এটাই অনেক।

সুস্মৃতি বসে বসে অনেক কিছুই ভাবছিল, ভাবনা স্থিতিশীল হলো কারো আগমনে। সুস্মৃতি না দেখেও বুঝলো এটা সজল অন্তরে কান্নার সুর ধরেছিল যেন,  থামিয়ে দিলো সেই করুণ ধ্বনি। বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো দ্রুত। পিছন ফিরতেই স্বামীকে দেখলো। এক মুহূর্তের জন্য দৃষ্টি বিনিময় হলো। সুস্মৃতি আর দাঁড়ালো না। চলে যেতে গেলেই সজল তার হাত ধরে তাকে আটকালো। ওকে থামতে হলো। পিছন ফিরে তাকালো স্বামীর দিকে। স্বামীর মৌন অবস্থা বোঝার চেষ্টা করলো। মানুষটা কি কিছু বলতে চাইছে তাকে? না, কিছু বললো না মানুষটা। মানুষটার দু চোখে কিছু বলার উদ্বেগ। কিন্তু মুখ নির্বাক। সুস্মৃতি সময় নষ্ট করলো না। হাত ছাড়িয়ে নিয়ে চলে গেল।

    

পর্ব.  

 

 

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

Nurture Academy Welfare Trust (NAWT)

 

আমরা Nurture Academy Welfare Trust একটি 500+ সদস্য-সদস্যার পরিবার।

আমাদের সামাজিক প্রকল্প গুলি হলো:

 

"EMPOWERING MINDS, TRANSFORMING FUTURES: NURTURING BRAIN DEVELOPMENT IN RURAL RESILIENCE“

This motto reflects the idea of empowerment through education, the transformative potential of enhanced cognitive abilities, and the resilience that rural communities can build when provided with the necessary tools and opportunities for brain development. Feel free to customize the motto based on the specific goals and values of the initiative or organization involved in rural brain development.

 

DEVELOPMENT

A. EDUCATION

1. CHILD EDUCATION

NURTURE-RIDE: Speed, Accuracy, Concentration, Self Confidence, Visualization, Reality based logic, Imagination, ABACUS, Vedic Math

 

2. SELF EDUCATION

SHIKSHA ((SKILLFUL, HEALTHY INSTRUCTION OF KNOWLEDGE FOR SUCCESS WITH HONEST ADVICE)): Carrier Counseling, Nurture Mental Quiz, Inventive Talent Hunt, Yoga And Brain Gym, Education, Employability And Women Empowerment, ST Children Education

 

DEVI (Discrimination, Evil and Violence free Insight): Gender Education, Gender Based Violence (GBV), People Opposing Women Abuse (POAA) in our society

 

SAVE: Specially-Abled youth education in rural areas

HOPE: Orthopedic Handicapped Education and  instruments provide

 

B. HEALTH

SELF (Strategies, Education, Learning to Food)

NURTURE NUTRITION SOLUTION

GOPALA

Go for Old/Orphanage Protector Age Long Alive

 

WELFARE

NURTURE ASHAR ALO

BOOK BANK – UPAYAN

CLOTH BANK

WATER AND SANITATION

NUTRURE GREEN

 

আমরা অর্থ সহায়তার অনুরোধে আসি না, আমরা চলি মানসিক বন্ধনে।

সকলে আসুন মতামত দিন আর যুক্ত হন, শক্ত সমাজ গড়তে।

 

 

 

Registered Office

Nurture Academy Welfare Trust

Ramnagar, East Medinipur, West Bengal-721441

Contact : 8900173418

Operation Office

Operation Office

Bishnupur, Bankura-722122

Mob: 7679041458

Contai, East Medinipur-721401, Mob: 8617400233

Operation Office

Operation Office

Debra Bazar, Paschim Medinipur- 721126

Mob: 9735725226

Egra, East Medinipur, Pin - 721429.

Mob: 8942090094

Operation Office

Gitanjali Apartment, East Vibekananda Pally, Nazrul Sarani By Lane,

Siliguri-734006, West Bengal

Mob: 9735066011

Operation Office

219/C , B.B.Chatterjee Road,  Kasba, Kolkata - 700042

 

For inquiry mail us on: nurture10102020@gmail.com

Our Apps: https://nurtureacademy.winuall.com

Our website: http://nurtureacademywelfaretrust.co.in

Join our Telegram channel: https://t.me/joinchat/bxwKGMx4fjA4YTdl

Join our WhatsApp: https://chat.whatsapp.com/DtIGRd9X9H6

Like us on Facebook: https://www.facebook.com/Nurture-Academy-Welfare-TRUST-101021905121293

Subscribe our YouTube: https://www.youtube.com/@nurtureacademywelfaretrust5350

For appointment what app us on: 8900173418

 

MSME (Udyam) :: Niti Aayog (NGO Darpan) :: 80G :: 12 A :: CSR-1

IAF - ISO 9001:2015 // ISO 21001:2018